সংক্ষিপ্ত
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল সুদীপ ছেত্রীর। খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
আত্মঘাতী হলেন সেবক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সুদীপ ছেত্রী (৪৫)। কর্মরত অবস্থাতেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে মাথায় গুলি চালান তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে।
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন সুদীপ ছেত্রী। খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। বহু স্থানীয় ও জেলা স্তরের ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন। এমনকী, কলকাতায় ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটও খেলেছেন তিনি। ক্রিকেট কেরিয়ার শুরুর আগে পরিবারের সঙ্গে রায়গঞ্জে থাকতেন সুদীপ ছেত্রী। কিন্তু, পরে তাঁরা বালুরঘাটে চলে যান। উজ্জ্বল ক্রিকেট কেরিয়ারের লক্ষ্যেই বালুরঘাটে বসবাস করতে শুরু করেন তাঁরা। এরপরই যোগ দিয়েছিলেন পুলিশে।
আরও পড়ুন- কুসংস্কারের বলি, ছটফট করতে করতে চোখের সামনে শেষ গৃহবধূ
আরও পড়ুন- লক্ষ্য উপনির্বাচন, ৪দিনে ১ লক্ষ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা গোসাবায়
বিগত দু'বছর ধরে সেবক ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন এসআই সুদীপ ছেত্রী। পরিবার নিয়ে শিলিগুড়ি শিব মন্দির এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে সব সময় কথা হত। তাঁর যে কোনও সমস্যা হচ্ছে সেকথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে ডিউতেই ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা সার্ভিস রিভলভার থেকে নিজের মাথায় গুলি করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি টের পেতেই তড়িঘড়ি সেখানকার অন্য পুলিশ অফিসাররা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বেসরকারি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- তালিবানের তাণ্ডবের মাঝে কলকাতায় উদ্ধার প্রায় ৩০ লক্ষ আফগানি মুদ্রা, ধৃত ২
শনিবার রাতে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার ভোরে হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জেলা ক্রিকেটের এই উজ্জ্বল তারকা। ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার তাঁর দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তাই তদন্তের স্বার্থে মৃতের পরিবার ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা।