সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের কোভিড বুলেটিন মত পার্থক্য বিরোধী দলের
- ভোটের সময় যতোই এগিয়ে আসছে, সংক্রমণও কমছে
- আচমকাই কোভিড বুলেটিনে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে
- নেই তেমন বাড়ি-বাড়ি কোভিড টেস্ট, সংস্পর্শে আসা লিস্ট
২০১৯ এর শেষ মাসটাতেও বোধয় কেউ ভাবেনি, ২০২০ এমন যাবে। বাংলায় করোনা ঢোকার আগে খুশির ঝলক ঠিক কেমন ছিল। মনে পড়ে কি তা। ঠাকুমার কথা মনে পড়ে। শীতের শেষে ঠাকুমা তখনও কাঁপতে কাঁপতে গল্প শুনিয়েছে নাতি-নাতনিকে। মনে পড়ে বলে, আবার এসো দাদুভাই, পিঠে করে খাওয়াব। তারপরে এক ভাইরাস এসে সব কিছু দিল শেষ করে। এমনই হয়তো প্রায় একটা বছর পার করে শৈশব পেরোল কলকাতার কচিকাচারা। আর বড়রা কী করল, প্রশ্নের উত্তর দেবে বিধানসভা নির্বাচন।
ভোটের হাওয়া ভাইরাসে
রাজ্যের কোভিড বুলেটিন নিয়ে বরাবরাই মত পার্থক্য রয়েছে বিরোধী দলের। বাংলায় করোনা ঢোকার পর উঠে এসেছে রাজ্য় সরকারের আইডি হাসপাতালের ভিতরে পচা দেহ পড়ে থাকার দৃশ্য। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। উঠেছিল সব জেলা যখন করোনায় রাঙা হয়েছে, তখন রায়গঞ্জ কেন সবুজ। আইসিএমআর বাংলায় আসার পরেই এনিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। শেষে বাংলার 'ওখানে করোনা নেই' রায়গঞ্জও রাঙা হয়েছে । পুজোর আগে যখন মহারাষ্ট্রের সংক্রমণকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা সহ রাজ্য,তার পরে কোভিড বুলেটিনে ম্যাজিকের মতো সুস্থতার হার বেড়েছে বলে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে। শহরবাসীর অভিযোগ, মার্চ-এপ্রিল-মে এই সময়গুলিতে যতোটা করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের নিয়েও লিস্ট বানাচ্ছিল রাজ্য, আগস্ট পেরোতেই যেন সেই নিয়ম হাওয়ায় ভেসে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার কিছু এলাকা ছাড়া কোনও জেলাতেই নেই তেমন বাড়ি-বাড়ি কোভিড টেস্ট। এরপর যখন রাজ্যে হাজারে হাজারে কেন্দ্রের পাঠানো কিট থাকা সস্ত্বেও কোভিড পরীক্ষার কমতির অভিযোগ উঠল, তখন বাড়ল পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় তখনও নিশ্চিত রিপোর্ট আসছিল না। বাধ্যতামূলক করা হল আরটি-পিসিআর। ততদিনে আসলে পদ্ম ফুটেছে বাংলার দীঘিতে।
বছর শেষে সুস্থতার হারও বাড়ল লাফিয়ে, সুস্থতা মাপা হল কিসের নিরিখে
এদিকে জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্গা পুজো প্য়ান্ডেলে ঘোরা নিষিদ্ধ জারি হতেই সংক্রমণ সত্য়িই কিছুটা কমল। তবে অমিত শাহের এবছরের প্রথম সফরের আগেই আচমকা লাফিয়ে নামতে শুরু করল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সুস্থতার হারও বাড়ল লাফিয়ে। কিন্তু রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল কিংবা আন্ডার টেকিং হাসপাতালগুলিতে এই সুস্থতা মাপা হল কিসের নিরিখে, তাঁকে ছুটি দেবার সময় করা হল কি আরেক বার আরটি-পিসিআর টেস্ট, এ প্রশ্ন রোগীর মুখেই। তাই এহেন করোনাকে বধ করতে যে শুধু ভোটই পারে, এবিষয়ে আর সন্দেহের অবকাশ নেই, বলে মত আমজনতার।