সংক্ষিপ্ত

  • ১৭ এপ্রিল, পঞ্চম দফায় এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ
  • লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হলেছিলেন নুসরত 
  •  নুসরত জাহান ৯৫ হাজার ৯৮৬ ভোট পান
  • বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু পান ৭৩ হাজার ৭৫৯ ভোট

তাপস দাস, প্রতিনিধি- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র তফশিলি জাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত আসন। এই বিধানসভাটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। 

১৯৭২ সাল থেকে ২০১১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত বামেরা এখানে দখল ছাড়েনি। ২০১৬ সালে এখানে প্রথম জোড়া ফুল ফুটেছিল। ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত এই আসন ছিল বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমের কাছে। ২০১১ সালে এই আসনে লড়ে সিপিআই। বাম পতনের বছরেও সে আসন দখলে রেখে দিয়েছিল ফ্রন্ট। তবে সেবার লড়াই হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি। সিপিআই প্রার্থী আনন্দময় মণ্ডল তৃণমূল প্রার্থী দেবেশ মণ্ডলকে হারিয়েছিলেন ১ হাজার আঠারো ভোটে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই প্রার্থী আনন্দময়কে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী দেবেশ, জয়ের ব্যবধান ছিল ৩০ হাজার ভোট। 

আরও পড়ুন- কলকাতার রাজপথে হলুদ শাড়িতে জয়া বচ্চন, ঠেললেন মমতার হুইল চেয়ার

 

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন সাড়ে সাত হাজারের কিছু বেশি ভোট। ২০১৬ সালে সেই ভোটের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়। পদ্মপ্রার্থী পান চোদ্দ হাজারের বেশি ভোট। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নুসরত জাহান ৯৫ হাজার ৯৮৬ ভোট পান। বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু পান ৭৩ হাজার ৭৫৯ ভোট। 

বিজেপির ভোট যে এই এলাকায় ব্যাপক বেড়েছিল আগেই তাতে সন্দেহ নেই। এরপর আমফান দুর্যোগ এবং তার জেরে দুর্নীতি এই ঝড় কবলিত এলাকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। দুর্গম এই এলাকায় নিজের প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্বীকার করেছেন কিছু জায়গায় দুর্নীতির কথা, আশ্বাস দিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জকে নিয়ে আলাদা জেলা তৈরি করার। এখানে সভা করত পাঠানো হয়েছে সাংসদ নুসরতকেও। 

আরও পড়ুন- সংগঠন থেকে প্রচার, আরএসএস-ই গড়ে দিয়েছে বিজেপির জয়ের ভিত

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই বিধানসভা কেন্দ্রে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা কম নয়। সে ভোটকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে বিজেপি। 

১৭ এপ্রিল, পঞ্চম দফায় এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ।

YouTube video player