সংক্ষিপ্ত

  • গদ্দারদের' 'শায়েস্তা' করার ইঙ্গিত
  • মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল
  • দলত্যাগী তৃণমূল নেতাদের সদস্যপদ খারিজ
  • খারিজ করল প্রশাসন 

গদ্দারদের' 'শায়েস্তা' করার ইঙ্গিতটা ছিল বহু আগে থেকেই। অবশেষে তা বাস্তবে পরিণত হতে শুরু করতেই মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, জেলা নেতৃত্বের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসনের তরফে মুর্শিদাবাদে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিরোধী বিজেপি ও কংগ্রেস শিবিরে যোগদানকারী তৃণমূল নেতাদের তথা জেলা পরিষদের সদস্যদের সদস্যপদ পাকাপাকিভাবে খারিজ করা হয়েছে। 

অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের তরফে টিকিট পাওয়ার আশায় ভোটের আগেই দল ছেড়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের একাধিক নেতা-নেত্রী। কেউ বিজেপিতে গিয়েছিলেন তো কেউ আবার যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। এবার সেই সমস্ত ‘দলবদলু’দের ‘শাস্তি’ দিতেই এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ তৃণমূল কংগ্রেসে। দল বদল করা জেলা পরিষদের সদস্যদের ‘সদস্য’পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের নেতৃত্ব প্রশাসনের কর্তাদের কাছে। 

সেই আবেদন মেনেই জেলা পরিষদের দুই সদস্যের সদস্যপদ খারিজ করা হল। প্রথমজন হলেন জেলা পরিষদের রেজিনগরের সদস্যা দ্রৌপদী ঘোষ। তার সদস্যপদও খারিজ করা হয়েছে। অপরজন, ১৫ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য নাসির শেখ। তিনি ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। দল বদল করেও কপালে টিকিটের শিঁকে ছেড়েনি তাঁর। শেষপর্যন্ত রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন তিনি। জয় পাননি। এবার জেলা পরিষদের সদস্যপদও খারিজ হল তাঁর। 

আরোও জানা যায়, বিধানসভা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আবার সহ-সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাসও যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাঁদের সদস্য পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে পদ ছেড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। 

তাঁর সঙ্গে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়। তবে পরবর্তীতে কার ওপর 'শায়েস্তা ' এর কোপ পড়তে চলেছে সেই নিয়ে এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।