সংক্ষিপ্ত
- 'এখনই লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা নেই'
- আতঙ্কের কোনও কারণ নেই টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে
- রাজ্যের ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে
- তবে রাজ্যে ভ্যাকসিন নেই, বৈঠকে বার্তা মমতার
'এখনই লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা নেই', সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় বার্তা দিলেন মমতা। এদিনও ফের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনটা একদিনে করলে ভালো হত।' যদিও এতকিছুর পরেও নাড্ডার প্রশ্ন দাগ কেটেছে রাজ্যবাসীর মনে।
আরও পড়ুন, কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা, আগামীকাল থেকে বন্ধ রাজ্য়ের সকল সরকারি স্কুল
কোভিডের ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে সবার মনেই একটাই প্রশ্ন কবে লকডাউন শুরু হবে। বিশেষ করে যারা প্রাইভেটে কিংবা দিন আনে দিন খায়, তাঁরা আক্রান্ত না হলেও রোজগার হারিয়ে বেঁচের থাকার দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এদিন তাঁদের সকলের উদ্দেশ্যই বৈঠকে মমতা বলেছেন, এখনই লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা নেই। লকডাউন করলেই কি সব বদলে যাবে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। এদিন মমতা আরও বললেন, এতে লোকের অসুবিধা হবে। নাইট কার্ফু কোনও সমাধান নয়। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আরও সাড়ে ৪ হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। রাজ্য সরকার সকল পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যে ভ্যাকসিন নেই বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি। গতকালই এনিয়ে মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা।'
আরও পড়ুন, ইদের দিনে সামশেরগঞ্জ -জঙ্গিপুর নির্বাচন ঘোষণা কমিশনের, ক্ষোভ উগরে দিল সংখ্যালঘুরা
উল্লেখ্য, যদিও কোভিডে পরিস্থিতি রাজ্যে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড বাড়িয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই করোনার উপসর্গ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এই মর্মে নয়া নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা আরও বলেছেন ওয়ার্ক ফর্ম হোমে জোর দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি নির্বাচনের দফা কমানোর জন্য এদিনও ফের মমতা বলেছেন, নির্বাচনটা একদিনে করলে ভালো হত। নির্বাচন যতো তাড়াতাড়ি শেষ হবে প্রশাসন তত ভাল কাজ করতে পারবে কোভিড পরিস্থিতিতে।
আরও পড়ুন, 'দিদির জন্য দরকারে সারা শরীরের রক্ত দেব', লাঠির আঘাত পেয়ে বার্তা তৃণমূল কর্মীর
এদিকে সকালে পরপর দুটি টুইট করে রাজ্যোর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মমতা।এই বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন ওই টুইটেই। তিনি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন,
'করোনা সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমি সকল আধিকারিককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি। করোনার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে , আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অতিরিক্ত ওষুধ-ভ্যাকসিন পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি।
আরও পড়ুন, 'কোভিডের সঠিক তথ্য দেয়নি রাজ্য', ভয়াবহ সংক্রমণের মাঝে বিস্ফোরক নাড্ডা
উল্লেখ্য, রবিবারই নরেন্দ্রমোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং ওষুধ নেই। নেই পর্যাপ্ত পরিমানে কোভিড ভ্য়াকসিনও।' যদিও এতসব কিছুর পরেও প্রশ্ন উঠে আসে গেরুয়া শিবিরে। কারণ সম্প্রতি একটি সভায় এসে মমতাকে নিশানা করে জেপি নাড্ডা বলেছেন, 'আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমি জানি বাংলায় যখন ডেঙ্গু হয়েছে তখনও সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি আর কোভিডের সময়েও সঠিক তথ্য দেয়নি বাংলা।'