সংক্ষিপ্ত
- কেন্দ্রীয়বাহিনীর লাঠির আঘাতে আহত তৃণমূল কর্মী
- চোখে-মাথায় আঘাত লেগে রক্ত বেরিয়ে এসেছে
- রক্তাক্ত ঘটনার অভিযোগ উঠল ফের পঞ্চম দফায়
- পঞ্চম দফায় ঘটনাটি ঘটেছে আলমবাজারের এলাকায়
কেন্দ্রীয়বাহিনীর লাঠির আঘাতে আহত তৃণমূল কর্মী। শীতলকুচির পর সেই রক্তাক্ত ঘটনার অভিযোগ উঠল ফের পঞ্চম দফার ভোটেও। আলমবাজারের ৮ নং ওয়ার্ডের বুথ নং ৭৮ এবং ৭৮ এ স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় জখম ওই তৃণমূল কর্মীর নাম গৌতম ঘোষ। এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল ও গৌতম ঘোষের ছেলে সিদ্ধার্থও। সিদ্ধার্থ প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
আরও পড়ুন, 'অনুপ্রবেশকারীরাই হল দিদির ভোটব্যাঙ্ক', আউশগ্রামে বিস্ফোরক অমিত শাহ
সিদ্ধার্থর বাবা গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন, 'কেন্দীয় বাহিনী আগেরবার চতুর্থ দফায় সাধারণ মানুষের বুকে গুলি করেছে। এদিন এখানে এক বাস কেন্দ্রীয় বাহিনী আচমকাই এসে , নামার সঙ্গে সঙ্গে লাঠি চার্জ করে আমার উপর। আমার চোখে-মাথায় আঘাত লেগে রক্ত বেরিয়ে এসেছে। মাথায় ৪ টে সেলাই পড়েছে। লেগেছে খুব জোর পিঠেও আঘাত। তিনি আরও জানালেন এই ঘটনার পর থানায় এফআইআর করেছেন। দিদির জন্য দরকারে সারা শরীরের রক্ত দেব। আমার মতো এক লক্ষ কর্মীও অপেক্ষা করছে। কিন্তু শুধু রক্ত জড়িয়ে যে পশ্চিমবঙ্গকে জয় করা যাবে না বলে তিনি মোদী-শাহকেও নিশানা করেছেন।'
আরও পড়ুন, সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা , কোভিড রুখতে নয়া গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশ রাজ্য়ের
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি লেগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে চতুর্থ দফার পর থেকেই প্রতিবাদের পথে নেমেছে তৃণমূল। কখনও মৃতের পরিবারের পাশে, কখনও কালো কাপড় পরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে এই পুরো ঘটনার জন্য মমতাকেই দায়ী করেছে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরাও বলে উসাকানি না দিলে এমন ঘটনা ঘটতা না। মূলত ভোট রিগিং, বুথ দখল এবং আত্ম রক্ষার্থেই সেদিন গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে চতুর্থ দফার ভোটের দিন সবার প্রথমে যখন সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ১৮ বছরের ভোটারের মৃত্য হয়েছে, তা নিয়ে কেন নীরব থাকলেন মমতা, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সেও তো ভোটের লাইনে দাড়িয়েই প্রাণ হারিয়েছে। মৃত আনন্দ বর্মন বিজেপি করতো বলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিই তাঁদের সন্তাকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে বলে দাবি করেছে আনন্দের পরিবারও।