সংক্ষিপ্ত

  • সামশেরগঞ্জ-জঙ্গিপুরে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে 
  • কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা
  •  ইদের দিনেই পড়েছে নির্বাচন, ভোট বয়কটের হুমকি
  • ' সমস্যা'য় কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইলেন জেলা সম্পাদক
     

সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের। এই দুই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর করোনায় মৃত্যুতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হয় ওই এলাকায়। সোমবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। 

আরও পড়ুন, করোনায় ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যের, মানুষকে বাঁচাতে মোদীর কাছে সাহায্য চাইলেন মমতা 

 

 


কেন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা ?


এদিকে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতেই   কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা।আসলে, এই দুই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর করোনায় মৃত্যুতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হয় ওই এলাকায়। উল্লেখ্য ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এদিকে ১৫ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক কোভিডে প্রাণ হারান। প্রার্থীর মৃত্যুতে নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন। পাশাপাশি জঙ্গিপুরে ২৬ এপ্রিল ভোট বাতিল হয় সেই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপি-র লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর মৃত্যুতে।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, নিয়ম মেনে পরে ওই দুই কেন্দ্র ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। 

 

আরও পড়ুন, পয়লাবৈশাখের সকালেই কোভিডে কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু, শোকের ছায়া বাংলায় 

 

 

ইদের দিনেই পড়েছে নির্বাচন- ভোট বয়কটের হুমকি

 

 এরপরেই কমিশন জানায়, আগামী ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন এবং আগামী ১৮ মে ভোট গণনা হবে।  এদিকে ১৩ মে আবার ইদ। ইদের দিন ভোট দিতে নারাজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। ইতিমধ্য়েই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন কেউ কেউ। স্যামসাং বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা মানোয়ার শেখ, জসিম উদ্দিন শেখ, জঙ্গিপুরের সাবির আহমেদ, লাল চাঁদ শেখ প্রমুখরা বলেন, আমাদের পক্ষে ঈদের দিনে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়াটা অসুবিধা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পুনরায় ঐদিন পরিবর্তন করে নতুন দিন ঘোষণা করা উচিত।' 

 

' এটা একটা জটিল সমস্যা'-'কমিশনের হস্তক্ষেপ চাই'

 

 

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন আগামী ২৬ এপ্রিল। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ ব্যাপারে অধীর চৌধুরী রাজনৈতিক সচিব তথা জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন,'নির্বাচন কমিশনের উচিত সকল দিক বিচার বিশ্লেষণ করে ওই দুই কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা। অন্যদিকে আরেকটি জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,'অধিকাংশ ভোটার ঐদিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারবেন না। এটা একটা জটিল সমস্যা দ্রুত নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ করে তার সমাধান করা উচিত"।