সংক্ষিপ্ত

  • পুরুলিয়ায় ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী।
  • মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ
  • ভোটব্যাঙ্ক পলিসির জন্যই এত অনুপ্রবেশ।
  • নিজের স্বার্থে মাওবাদীদের মদত দিয়েছে তৃণমূল
     

শমিকা মাইতি, পুরুলিয়া - ভোটের প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় ভোটের প্রচারে এসে ‘দিদি’কে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘বাংলায় অনুপ্রবেশের পিছনে তোষণের রাজনীতি রয়েছে। ১০ বছর ধরে বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে।’  মোদীর মতে, ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরই মমতা ব্যানার্জ্জীর ‘খেলা শেষ’ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘দিদি ও দিদি, ১০ বছর বাংলার ভাইবোনেদের চিন্তার খেলা খেলেছেন। এবার তার অবসান হবে বাংলায়। এ বার খেলা শেষ হবে।’

আরও পড়ুন- তফশিলি জাতি উপজাতির ভোট বিজেপিতে ঝুঁকছে, হিসেব দেখেই মমতার ১০০০ টাকা ভাতার প্রতিশ্রুতি

পিছিয়ে থাকা জঙ্গলমহলে গিয়ে এদিন অনুন্নয়ন ও বঞ্চনার প্রসঙ্গ বারবার তুলে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘দলিত আদিবাসী, বনবাসীদের কখনও নিজের ভাবেননি মমতা। করোনার সময় কেন্দ্রের দেওয়া সস্তার চালও লুঠ করেছে দিদির লোকেরা।’ কেন্দ্রের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রকল্প এখনও এ রাজ্যে মমতা চালু করে উঠতে পারেননি বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।  তাঁর কথায় ‘আমরা ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারে বিশ্বাস করি। যেখানে তৃণমূল ট্রান্সফার মাই কমিশনে বিশ্বাস করে।’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, বাম আমলের মতোই তৃণমূলের সরকারও পুরুলিয়ায় শিল্পায়নের বিষয়টি অবহেলা করেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে জঙ্গলমহলের উন্নয়নে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘দিদি বলেন, খেলা হবে। বিজেপি বলে, বিকাশ হবে। বিজেপি বলে শিক্ষা হবে। মহিলাদের উত্থান হবে। বিজেপি বলে যুবশক্তির বিকাশ হবে। চাকরি হবে। পরিষ্কার জল হবে। গ্রামে গ্রামে হাসপাতাল হবে। স্কুল হবে।’

জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপের জন্যও মমতাকেই এদিন দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থে বাংলায় মাওবাদী হিংসায় মদত দিয়েছে তৃণমূল।’ এরপর ভাঙা ভাঙা বাংলায় মোদী বলেন, ‘অনেক অত্যাচার করেছো দিদি। এবার রুখে দাঁড়াবে মানুষ। মা দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে তোমায় করবে পরাস্ত।’

আরও পড়ুন- গড়বেতার সভায় এনপিআর নিয়ে সরব মমতা, সিএএ নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ মুখ্যমন্ত্রী

মোদী মনে করেন, ভোটব্যাঙ্ক পলিসির জন্যই মমতা চিরকাল এক শ্রেণির মানুষকে তোষণ করে এসেছেন। এদিনের সভায় মোদী বলেন, ‘পুলওয়ালা হামলার সময় আপনি কাদের সঙ্গে ছিলেন, সেটা বাংলার মানুষ জানে। বাটলা হাউস এনকাউন্টার নিয়ে অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত। কিন্তু মমতাদিদি তখন এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তোষণের জন্যই এ সব করছেন তিনি।’ তোষণের এই রাজনীতি আর বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, ‘দিদির সরকারের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বার ভয় নয়। শুধু জয়।’