সংক্ষিপ্ত
- কোকেন সহ ধরা পড়েন নেত্রী পামেলা গোস্মামী
- কোকেন কাণ্ডে ৩ রাজ্য়ে তল্লাশি চালাল পুলিশ।
- মাদক মামলা থেকে সরছেন পামেলার আইনজীবী
- দাবি, কয়েকজন চান না এই মামলায় তিনি জড়ান
কোকেন কাণ্ডে ৩ রাজ্য়ে তল্লাশি চালাল পুলিশ। পামেলা-রাকেশ ছাড়া আর কারা এই কোকেন পাচারের সঙ্গে জড়িত তা জানতেই এই তল্লাশি। ওদিকে হুমকির জেরে আলিপুর মাদক মামলা থেকে সরে গেলেন বিজেপি যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামীর আইনজীবি শুভদীপ রায়। তবে এখানেই শেষ নয় পামেলা কাণ্ডে উঠে এল আরও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন, Election Live Update- 'পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোটের জন্য দায়ী কে', মমতাকে তোপ BJP-র
পামেলা কাণ্ডে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পামেলা গ্রেফতার হওয়ার পর বারবার দাবি করেছেন যে, তাঁর গাড়িতে রাকেশ সিংয়ের লোকই ওই মাদক রেখেছে। পরে পামেলার দাবি অনুযায়ী পুলিশ ওই ব্যক্তির খোঁজ চালালেও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, ওই ব্যক্তি আপাতত ফেরার। এদিকে রাকেশ সিংয়ে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফেরার ওই ব্যাক্তিই পামেলা গ্রেফতার হওয়ার আগের দিন , ঘটনার দিন এবং পামেলা গ্রেফতারের পরে দিন রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে গিয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা গেলেই মাদক চক্রের মূল মাথা অবধি পৌছানো যাবে। এবং ফেরার এই ব্যাক্তির সঙ্গে রাকেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ছিল বলে দাবি লালবাজারের গোয়েন্দাদের। এরইপরেই কোকেন কাণ্ডে ৩ রাজ্য়ে তল্লাশি চালাল পুলিশ। কারা বিজেপি নেতা-নেত্রীর কাছে পৌঁছে দিত সেই মাদক, এই সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই ১২ জনকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্য়ে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। উল্লেখ্য়ে, পামেলাকাণ্ডে অনুপম হাজরা এবং শঙ্কুদেব পণ্ডাকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, কোকেন সহ নিউ আলিপুর থানার পুলিশের কাছে গ্রেফতার হন বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক পামেলা গোস্বামী। তার পরের দিন থেকে আদালতে পামেলার আইনজীবি পদে নিযুক্ত আইনজীবি শুভদীপ রায়। তবে এবার হুমকির জেরে আলিপুর মাদক মামলা সরে গেলেন পামেলার আইনজীবি। আইনজীবির দাবি, কয়েকজন চান না এই মামলায় তিনি জড়ান। তিনি যাতে পামেলার হয়ে সওয়াল তিনি না লড়েন তার জন্য চাপ আসছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় আচমকা তাঁর পথে আটকে চার-পাঁচটি বাইক। এরপর তাঁকে হুমকির সুরে বলা হয় নিজের পরিবারের স্বার্থে যেন এই মামলা থেকে তিনি সরে যান। ওই অজ্ঞাতপরিচিতদের কথা না শুনলে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি হতে পারে বলেও আইনজীবীকে শাসানো হয় অভিযোগ।