সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যপালের দ্বারস্থ প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়
- মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই তিনি রাজভবনে যান
- নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
- রাজীবের নিরাপত্তা নিয়ে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে
মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিকে রাজীবের ইস্তফার পরপরই শুরু নয়া জল্পনা। প্রাক্তন বনমন্ত্রীর বিজেপি যোগ এবং নিরাপত্তা নিয়ে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, রাজীব সহ আরও ১৬ , জানুন শাহ সফরের দিনে তৃণমূল ছেড়ে BJP-র সম্ভাব্য তালিকায় কারা কারা
শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে রাজভবনে যান প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন, প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এসে তাঁর কাছে মন্ত্রী পরিষধ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, সংবিধান মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এদিকে কিছুদিন আগেও নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে রাজ্যপালকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। দল ছাড়লে যে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা আগেই করেছিলেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাশাপাশি রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ক্ষোভের সহিত জানিয়েছেন, 'আড়াই বছর আগেই ভেবেছিলাম পদত্যাগ করব। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আটকেছিলেন।' তাই এবার মনকষ্ট নিয়ে দল ছাড়ালেন তিনি। গত এক মাস ধরে অনেক কিছু কথা শুনেছি, কথা গুলি আহত করেছে আমায়। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি', বলে জানিয়েছেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে 'পদ্ম' ফুটলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ খুললেন কৈলাস
বস্তুত, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরেও রাজীবকে দলে রাখা নিয়ে অনেকবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক বসে। প্রথমবার বেসুরো হওয়ার পর রাজীবকে ছোট ভাই বলে একাধিকবার সম্বোধন করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু বহু বৈঠকেও নেভেনি আগুন। এখন শুভেন্দু পথ ধরে বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা এনিয়ে যথেষ্ট জল ঘোলা হয়েছে। সারা বাংলায় ৩০ তারিখে শাহ সফরের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। উল্লেখ্য দল ছাড়ার সময় শুভেন্দু ইস্তফা পত্র নিয়েও সমস্য তৈরি হয়েছিল। যদিও বা তা ক্ষণিকেই মিটে যায়। যদিও মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও দল ছাড়েননি রাজীব। তবে এক্ষেত্রে রাজীবের বিজেপি যোগ দেওয়া নিয়ে জল কোন দিকে যাবে, মাসের শেষেই তা বোঝা যাবে।