সংক্ষিপ্ত

মাদারিহাটের গ্যারগেন্ডা চা বাগান এলাকায় তিতিখোলা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে পাথর তোলা হত। এই পাথরের খাদান কার দখলে থাকবে তাকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের মূল সূত্রপাত। 

বাগানে একটি সরকারি কালভার্ট তৈরির বরাত পাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে শুটআউট আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট (Madarihat of Alipurduar) থানার গ্যারগেন্ডা চা বাগানে। ঘটনায় নৃসংশ ভাবে দুই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর। সোমবার গভীর রাতে কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জনের একটি দল নিহত পাপ্পু থাপার মন্দির লাইনের বাড়িতে রিভরলবার নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তুমুল গুলি বৃষ্টির মধ্যেও নিজেকে কোনোক্রমে রক্ষা করে, পাপ্পু থাপা ও তাঁর অনুগামীরা স্থানীয় একটি আইসিডিএস সেন্টারের ছাদে আশ্রয় নিলে তাঁদেরকে দেখে ফেলে বিপক্ষ শিবিরের লোকজন। অভিযোগ ওই ছাদের ওপর থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে নামানো হয় প্রত্যেককে। তারপর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারা হয় পাপ্পু থাপা (৩২) ও তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাবু মাহালিকে(২৮)। 

অভিযোগ সেখানেই থেমে না গিয়ে ওই দুস্কৃতি দলটি মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র ও বল্লম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রায় মরনাপন্নদের উপর।সে সময় পাপ্পু থাপার আরও চার অনুগামী গুরুতর জখম হয়। ওই আক্রমণের মুখে কোনোক্রমে নিজের নয় মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রাণে বাঁচেন পাপ্পুর স্ত্রী সন্ধা তামাং। তাঁর সরাসরি অভিযোগ ওই গ্যারগেন্ডা চা বাগানের বিপক্ষ ঠিকাদার কুন্দন ভুজেলের নেতৃত্বেই পুরো হত্যা লীলা সংঘটিত হয়েছে।এছাড়া ঘটনায় অমর ওরাওঁ ও রিমেশ থাপা নামে আরও দুজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে রাতেই মাদারিহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।  রাতেই মাদারিহাট থানার পুলিশ মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার খুনে অভিযুক্তরা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- পিএম গতিশক্তির অধীনে ১০০টি কার্গো টার্মিনালের লক্ষ্যমাত্রা,বড় ঘোষণা নির্মলার


আরও পড়ুন- প্রতিরক্ষা খাতে কতটা বাড়ল বরাদ্দ, শত্রু দমনে কতটা আর্থিক শক্তি জোগাচ্ছে এবারের বাজেট

স্থানীয়দের দাবি , মাদারিহাটের গ্যারগেন্ডা চা বাগান এলাকায় তিতিখোলা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে পাথর তোলা হত। এমনকী যারা পাথর তুলতে আসত তাদের থেকে তোলা আদায় করা হত। এই পাথরের খাদান কার দখলে থাকবে তাকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের মূল সূত্রপাত।  তবে তার মাঝেই যে একেবারে এতবড় কাণ্ড ঘটে যাবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। অন্যদিকে এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা পরিস্থিতি। একাধিক জায়গায় চলছে পুলিশি টহলদারি। 

আরও পড়ুন- ভোট বৈতরণী পার করতেই কী ৬০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি, সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিরোধীরা