সংক্ষিপ্ত
ভোটের দিন উত্তপ্ত শীতলকুচি
জোড় পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে হত ৪
এর পিছনে রয়েছে ১৪ বছরের এক বালককে কেন্দ্র রটানো গুজব
এমনটাই বলছে পুলিশ
শীতলকুচির জোড় পাটকির ঘটনার পিছনে রয়েছে ১৪ বছরের এক নাবালককে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব। যে গুজবকে কেন্দ্র করেই খেপে উঠেছিল গ্রামবাসীরা। চড়াও হয়েছিল বাহিনীর সদস্যদের উপর। এমনটাই দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর।
তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও একাংশের গ্রামবাসীরা দাবি করছেন, কুইক রেসপন্স টিমের গাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি কর্মীরাও এসেছিলেন ওই বুথ এলাকায়। তাঁরা সেখানে এসেই গোলমাল পাকাতে শুরু করেন। ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ ভোটারদের মারধর করতে থাকে, ওলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। এক ১৪ বছরের বালককেরও গুলি লেগেছে। সে বুথের বাইরে পড়ে ছিল। আপাতত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই বয়ানের সঙ্গে মিলছে নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি। তারা জানিয়েছে, ওই ১৪ বছরের কিশোরকে নিয়েই যত সমস্যার উৎপত্তি হয়। পুলিশের দাবি বুথের বাইরে অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়েছিল ওই নাবালক। তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু, গ্রামবাসীদের মধ্যে রটিয়ে দেওয়া হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীই ওই বালককে মেরেছে। এরপরই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
প্রায় একশো গ্রামবাসী সেখানে জড়ো হয়ে গিয়ে বুথে হামলা চালায়। পোলিং অফিসার, বুথে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও চড়াও হয় তারা। অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রাণ সংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাদের। এরপরই গুলি চালাতে বাধ্য হয় তারা।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর এখনও অবশ্য মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রথমে শূন্যে গুলি চালিয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয়ত, গুলি চালালেও তা কেন পা লক্ষ্য করে করা হল না, তাই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।