সংক্ষিপ্ত
- ভোটের আগে জোট ইস্যুতে কংগ্রেসের কোন্দল প্রকাশ্য়ে
- কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা বনাম অধীর চৌধুরী
- কংগ্রেস, সিপিএম ও আব্বাসের সঙ্গে জোট নিয়ে জলঘোলা
- কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা টুইট করতেই আক্রমণ অধীরের
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা বনাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দ্বৈরথ প্রকাশ্যে। এবার আর লুকোচুরি করে নয়, এবার কংগ্রেসের ঘরোয়া কোন্দল বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কার্যত প্রকাশ্যে চলে এল।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় সরকারি পদে শুভেন্দুর ইস্তফা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে, কী কারণে এত বড় সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা একটি টুইট করেছেন। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার এনিয়েই উষ্মা প্রকাশ করলেন অধীর। আর তাতেই ভোটের আগে নতুন করে কংগ্রেস , সিপিএম এবং আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে ত্রিমুখী জোট নিয়ে রীতিমত জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মাত্র একদিন আগে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গড়ার নিয়ে টুইট করে তার বিরুদ্ধাচারণ করেন। এতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়ে খোদ দলের এই নেতার বিরুদ্ধে বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষোদগার করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
আরও পড়ুন, মহা শিবরাত্রিতে নন্দীগ্রাম থেকে মনোনয়ন পেশ মমতার, তবে ভবানীপুরে কে
কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মার টুইট ঘিরে বিতর্ক
অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মাকে কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই জোট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে ভাল কাজ করেননি দলের নেতা আনন্দ শর্মা। প্রয়োজনে তাঁর উচিত ছিল আমার সঙ্গে কথা বলার। এই কাজ কখনই সমর্থন যোগ্য নয়। সে নিজের মতামত জাহির করে দলকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের বিরোধী দল তৃণমূল-বিজেপিকে খুশি করতে চেয়েছেন আনন্দ শর্মা' ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ আনলেন এদিন অধীর। উল্লেখ্য, রবিবার ব্রিগেড শেষে বেরিয়ে এসে আব্বাস বলেন, স্বয়ং সোনিয়া গান্ধীর আইএসএফ-কংগ্রেসের জোট নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। রাজ্যেরই একজনের যতো অসুবিধা বলে কটাক্ষ করেন আব্বাস। এদিকে সেই আব্বাসের আইএসএফ ইস্যু নিয়ে এবার কংগ্রেসের অন্দরে বিতর্কে এল প্রকাশ্যে। বলাইবাহুল্য ঝড় অপেক্ষা করছে, শেষ হাসিটা কী তাহলে আব্বাসই হাসবেন, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।