সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার নিষিদ্ধ করতে হবে

কারণ, খোলাাখুলি মঞ্চ থেকেই হুমকি দিচ্ছেন মমতা

বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিশানা করছেন

কমিশনে অভিযোগ জানালো বিজেপি

 

খোলাখুলি মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই চলতি বিধানসভা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে আর কোনও সভা বা সমাবেশ করতে দেওয়া যাবে না। শুক্রবার,  কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধাকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে এমনই আবেদন করেছে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এবং তথাগতা রায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। অভিযোগের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর গোঘাট-এর সমাবেশের একটি ভিডিও ক্লিপ-ও নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি।

বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি কর্মীদের ভোটের পর মধ্যপ্রদেশে পাঠিয়ে দেব, বিহারে পাঠিয়ে দেব - এরকম বলে সন্ত্রস্ত করছেন। শিশির বাজোরিয়া বলেন, নির্বাচনের পর মমতা আর ক্ষমতায় থাকবেন না, কিন্তু, তার আগে আরো বেশ কয়েক দফা নির্বাচন বাকি। সেই সময়ে তাদের কর্মীদের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

গোঘাটের সমাবেশে মমতা যা বলেছিলেন, সেই জাতীয় বক্তব্য 'অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিকূল', এমনটাই দাবি বিজেপির। দলের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিজেপি এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করছে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, এমনটাই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন - নিশানায় কমিশন থেকে অমিত শাহ - মুক্তি পেয়েই হুঙ্কার ছাড়লেন মমতা, অট্টহাসি শুভেন্দুর

আরও পড়ুন - নন্দীগ্রামে মমতা কি হারের ভয় পাচ্ছেন - ভরসার তালিকায় কেন এখন রাজ্যপাল, আদালত আর সুদীপ জৈন

আরও পড়ুন - বয়াল গ্রামে বোতল-বন্দি মমতা, ফুটবলের স্ট্র্যাটেজিতেই কি মাত করলেন শুভেন্দু

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য আদর্শ আচরণবিধির লঙ্ঘন, বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, জনপ্রতিনিধি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি - দুই ধরণের আইনের আওতাতেই মমতার বক্তব্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এখানেই শেষ নয়, বিজেপির আরও অভিযোগ, বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকেও আঘাত করেছে।

এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার আগেই, যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।