সংক্ষিপ্ত

  •  'মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে লাগাম টানা উচিত'
  •  হিংসা ছড়াচ্ছে  মুখ্যমন্ত্রী ভাষণের ভাষা
  • কমিশনে অভিযোগ জানাল বিজেপি 
  • এদিন গোঘাটাও একই ইস্যুর পুনরাবৃত্তি


 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে লাগাম টানা উচিত'-কমিশনে অভিযোগ জানাল বিজেপি। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এছাড়াও বিজেপি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে, 'নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া সত্বেও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত রা ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়।'  

আরও পড়ুন, 'মা মাটি মানুষের স্লোগান দিয়ে মায়ের কি হাল-নিমতাকাণ্ডেই স্পষ্ট', ধনেয়াখলিতে ধিক্কার নাড্ডার 

 

 


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন,' মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে হিংসা ছড়াচ্ছে। অবিলম্বে এ বিষয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বিজেপি। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের ওসি অজিত ঝাকে অপসারিত করা হোক।এদিনও গোঘাটায় নাম না করে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আচমকাই ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য শোনা গিয়েছে মমতার বক্তব্যে। এবং মুহূর্তেই সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো দুঃখিত বলে জানিয়েছেন, 'আমি ওইথড্র করলাম আমার এই কথাটা।' তবে এটাই প্রথমবার নয় আগেও শব্দবাণ নিক্ষেপের পর দুঃখিত বলে ফিরিয়ে নিয়েছেন কথা। বিজেপির একাধিক শীর্ষ নের্তৃত্বকেই নিশানা করতে গিয়ে এমন দৃশ্য বারবার ফিরেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এদিকে ক্রমশ দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে উত্তপ্ত হচ্ছে নন্দীগ্রাম। অশান্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে বুধবার ইতিমধ্যেই সেখানে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে যেখানে বিশেষ করে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নিজেই নন্দীগ্রামের প্রার্থী, তাই এই  অশালীন মন্তব্য প্রভাব ফেলবে কিনা এনিয়ে ঘোর দুঃশ্চিন্তায় রাজনৈতিক মহল। তাই এবার রাখঢাক না করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাফ জানিয়েছেন,  'মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে লাগাম টানা উচিত'। 

 

আরও পড়ুন, 'ইলেকশনটা হয়ে যাক- তারপর দেখি কে আশ্রয় দেয়', নন্দীগ্রামের ভোটের আগে উদ্বেগ বাড়ল কি মমতার  

 


এছাড়াও বিজেপি কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে, 'নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া সত্বেও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত রা ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। তাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে শিশির বাজোরিয়া অভিযোগ করেন হাওড়া শিবপুর লিলুয়া বেলুড় থানার ওসি প্রত্যক্ষ ভাবে ভোটারদের ধমকানোর কাজ করছেন। তাদেরকে বদলী করা হোক।'