সংক্ষিপ্ত
- অভিমান ভূলে বাঁকুড়ায় বরফ ভাঙল সায়ন্তিকা-শম্পার
- টিকিট না পেয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শম্পা
- বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকার নাম ঘোষণার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ
- এবার অভিমান ভূলে উঠল স্লোগান 'ওয়েলকাম সায়ন্তিকা'
অভিমান ভূলে বাঁকুড়ায় বরফ ভাঙল সায়ন্তিকা-শম্পার। উল্লেখ্য, টিকিট না পেয়ে অভিমানে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শম্পা। শুধু তাই নয়, প্রার্থী ঘোষণার দিন বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পরেই শম্পা দরিপার অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এদিকে সেই সায়ন্তিকা, শম্পার বাড়ির সামনে আসতেই পট বদল। আতিথেয়তায় ত্রুটি ছিল না কোনও। 'মুড়িরেণ সমাপয়েৎ' হয়ে অনুঘটকের কাজ করল মুড়ি-চপ-শসা-জিলিপি। দীর্ঘ না হলেও গভীর অভিমান বাসা বেঁধেছিল দুজনের মাঝে। অবশেষে সেই অভিমানে যবনিকা পড়ল এবার।
আরও পড়ুন, ২১-র নির্বাচনে দুর্দশা প্রিয়রঞ্জনের খাসতালুকে, প্রার্থী খুঁজতে তৃণমূলেই নির্ভর কংগ্রেসের
বাঁকুড়ার এবারের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর গতবারের শম্পা দরিপার মধ্যে টেনশন বাসা বেঁধেছিল বিস্তর। রবিবারের সকাল থেকেই বাঁকুড়ার স্কুল ডাঙ্গা শম্পা দরিপার বাড়ির অফিসের সামনে তাঁর অনুগামীদের প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মতন। সায়ন্তিকা, শম্পার বাড়ির সামনে আসতেই উঠল স্লোগান ওয়েলকাম সায়ন্তিকা। পুষ্প বৃষ্টি, চন্দনের ফোঁটা এবং মিষ্টি মুখ করিয়ে আদর করে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকাকে বরণ করেন এতদিনের অভিমানী শম্পা দরিপা। সায়ন্তিকাকে বাড়ির অফিসের চেয়ারে বসিয়ে মুড়ি খাওয়াতেও দেখা গেল শম্পা দরিপাকে। সায়ন্তিকার দাবি, 'আজ আমরা সবাই এক, আর কেউ পারবে না আমাদের হারাতে। শম্পা দরিপার না থাকাটা অনেকটা ক্ষতি ছিল' বলেই মনে করেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা।
টিকিট না পেয়ে অভিমানে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিজেকে বাড়ির মধ্যেই আবদ্ধ রেখেছিলেন শম্পা দরিপা। শুধু তাই নয়, প্রার্থী ঘোষণার দিন বাঁকুড়া বিধাসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পরেই শম্পা দরিপার অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। আওয়াজ ওঠে গো ব্যাক সায়ন্তিকা। শ্লোগান ওঠে বাঁকুড়া নিজের মেয়েকে চায়। শম্পার অনুগামীরা বহিরাগত প্রার্থী কেন দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। এরই মাঝেই সায়ন্তিকা নিজের মতন করে প্রচার চালিয়েছেন, তবে দেখা যায়নি শম্পা দরিপাকে।