সংক্ষিপ্ত
- একুশের ভোটের আগে রাজ্যপাল নিয়ে পদক্ষেপ
- এই প্রথমবার পদক্ষেপ করল শাসকদল
- 'সংবিধান না মেনে প্রশাসনকে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল'
- এই অভিযোগে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ তৃণমূল
সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে প্রশাসনিক ব্য়র্থতা নিয়ে বহুবার ট্যুইট খোঁচা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তলব করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে। তা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। কিন্তু এবার সেই সংঘাত গড়াল রাইসিনা হিলস পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-'শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা বোঝে না', কৃষি-IPS প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন রাজ্যপালের
বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১৫৬(১) ধারা প্রয়োগ করে তাঁকে সরানোর দাবিতে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। সংবিধানের এই ধারাকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, সংবিধান না মেনে কাজ করছেন রাজ্যপাল। প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে কথা বলে পুলিশকে বারবার ভয় দেখাচ্ছেন তিনি। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতির দ্বারস্ত হলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন-খড়দহে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, রাতেই বদল কাঁথির পুর-প্রশাসক, সরানো হল ভাই সৌমেন্দুকে
আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা করেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেখানে ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্য সচেতক কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়। ছয় পাতার সেই স্মারকলিপিতে রাজ্যপাল কোথায়, কীভাবে মন্তব্য করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে সেখানে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কোন অধিকারে প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করেন। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুখেন্দুশেখর রায়।