সংক্ষিপ্ত

ভোটের প্রবণতা স্পষ্ট

হ্যাটট্রিক করছে তৃণমূল

বিজেপি এখনও আটকে দুই অঙ্কেই

বেলা ১টা পর্যন্ত ভোটের প্রবণতা কী বলছে

বেলা যত বাড়ছে ততই ফলাফলের প্রবণতা স্পষ্ট হচ্ছে। বিনা ঝুঁকিতেই বলে দেওয়া যায়, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের হ্যাটট্রিক করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। আর বারবার ২০০ আসনের বেশি আসন জয়ের হুঙ্কার ছেড়েও, ১০০ আসনও হয়তো আসবে না গেরুয়া শিবিরে।

এখনও অবধি বেশিরভাগ জায়গাতেই ৫ থেকে ৬ রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। বেলা ১টা পর্যন্ত যে ফল সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ৮১ আসনে এগিয়ে বিজেপি। বাম কংগ্রেস আইএসএফ-এর জোট এগিয়ে মাত্র ২টি আসনে। আর অন্যান্যরা এগিয়ে ২টি আসনে।

ফলাফলের এই প্রবণতা যত স্পষ্ট হচ্ছে, ততই ছবিটা পাল্টে যাচ্ছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট এবং হেস্টিংস-এ। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট-এ তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়ির কাছেই এক জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে সাংবাদিক সমর্থকদের জমােতের জায়গা করা হয়েছে। সেখানে এইতিমধ্য়েই সবুজজ আবির খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। তীব্র স্বরে বাজছে 'খেলা হবে' গান।

অন্যদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ ফাঁকা হচ্ছে হেস্টিংস-এ রাজ্য বিজেপির সদর দফতর। চারতলা ভবনে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য, সায়ন্তন বসু ছাড়া বড় নেতা আর প্রায় কেউ নেই বললেই চলে। জানা গিয়েছে, বারবার করে ফোন আসছে দিল্লি থেকে। কেন্দ্রীয় নেতারা এই হতাশাজনক ফলের কারণ জানতে চাইছেন। বিশেষ করে বাবুল সুপ্রিয়ো, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মতো হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের পিছিয়ে থাকাটা মেনে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির।