সংক্ষিপ্ত
কোনওরকম তথ্য যাচাই না করেই মোটা টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য সাথী ও আধার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়।
ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদে অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে চোরাচালানের সমস্যা অনবরত প্রশাসনের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর তারই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে ওঠা অনলাইন শপিংয়ের আড়ালে 'বায়োমেট্রিক' তথ্য সমন্বিত আধার কার্ড থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের বেআইনি কারবার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের গ্রাম দেওয়ান সরাই এলাকায় রীতিমতো ফাঁদ পেতে বসেছে এই বেআইনি কারবার। অনলাইন শপিংয়ের আড়ালে চলছে আধার কার্ড থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়ার কারবার।
সেক্ষেত্রে কোনওরকম তথ্য যাচাই না করেই মোটা টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য সাথী ও আধার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়। তারপরই গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বমাল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নানান ধরনের তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ নথি এমনকী বেশ কিছু আধুনিক 'ডিভাইস' উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন- 'ন্যাকামি করে শোকজ্ঞাপন করতে গেলে নিজদায়িত্বে যাবেন', ২ বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি কুণালের
ধৃতের নাম নাজিবুর রহমান। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে এলাকার মানুষকে আধার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিত সে। দেওয়ান সরাই এলাকার অনলাইন ব্যবসায়ী ছিল অভিযুক্ত। বর্তমানে জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে, অন্য প্রকল্পের মতো সেখানেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাছাড়া স্বাস্থ্য সাথীর কুপন সরকারিভাবে পঞ্চায়েতের নোডাল অফিসার দেবেন এটাই নিয়ম। যদিও এই নিয়মের কোনও তোয়াক্কা করত না নাজিবুর।
আরও পড়ুন- 'অন্যতম অভিযুক্ত সুব্রত', মন্ত্রীর মৃত্যুর পর বিস্ফোরক অশোক ভট্টাচার্য
অভিযোগ, এলাকার সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে ৫০ টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কুপনও বিক্রি করেছিল সে। এই বিষয়ে মুসলেমা বিবি, কুলেমা বিবির অভিযোগ, "আধার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে মাস চারেক আগে আমাদের কাছে থেকে ৬০০ টাকা করে নিয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত আধার কার্ড করে দিতে পারেনি। আবার স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের কুপনের জন্য ৫০ টাকা করে নিচ্ছে।" পুলিশ এই খবর জানতে পারার পরই হাতেনাতে গ্রেফতার করে নাজিবুরকে। যদিও এই অভিযোগের পর ধৃত নাজিবুর রহমানের সাফাই, "এলাকার মানুষ পঞ্চায়েতে গিয়ে কুপন না পেয়ে আমার কাছে আসেন। আমি তাঁদের সাহায্য করতেই ওই কুপন দিয়েছি।"