সংক্ষিপ্ত
- নির্মীয়মান পাঁচিল ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের সালার থানার রায়গ্রামে
- পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে তিন মহিলা শ্রমিক-সহ মোট ১২ জন শ্রমিকের
- মৃতদের নাম শেফালি হেমব্রম(২১), চিন্তামনি ওরফে কাঞ্চনা মালি(৩৬) ও সরস্বতী মালি(৪৫)
- এঁদের সকলের বাড়ি পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানা এলাকায়
নির্মীয়মান পাঁচিল ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের সালার থানার রায়গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে তিন মহিলা শ্রমিক-সহ মোট ১২ জন শ্রমিকের। মৃতদের নাম শেফালি হেমব্রম(২১), চিন্তামনি ওরফে কাঞ্চনা মালি(৩৬) ও সরস্বতী মালি(৪৫)। এঁদের সকলের বাড়ি পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানা এলাকায়।
আহতদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ৭ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। এই ঘটনায় মৃত শ্রমিক শেফালির দিদি রাইস মিল মালিক দেবাশিস ঘোষের বিরুদ্ধে সালার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই বহরমপুরের বাসিন্দা ওই মিল মালিক গা-ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেড় বছরের ঘুমন্ত মেয়েকে পুকুরে ফেলে দিলেন মা, বাঁকুড়ায় চরম নৃশংসতা
জানা গিয়েছে,সালারের রাইগ্রামে একটি রাইস মিলের ভিতরের নির্মাণ কাজ চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। ওই নির্মাণ কাজে সেখানে কর্মরত আছেন প্রায় ২৫-৩০ জন ঠিকা শ্রমিক। অধিকাংশই অন্য জেলার বাসিন্দা।
এদিন বুধবার ওই রাইস মিলের ভিতরের গোডাউনের দেওয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল। আচমকা বিকট আওয়াজে হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই বিশাল নির্মীয়মাণ গোডাউনের পাঁচিল। তাতেই চাপা পড়ে যান প্রায় ১১-১২ জন শ্রমিক। চিৎকার শুনে আশেপাশের অন্যান্য শ্রমিকরা ও এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন উদ্ধারকার্যে। পরে পুলিশ এসে ক্রেন ও জিসিপি মেশিন ব্যবহার করে মাটি সরিয়ে বাকিদের পাঁচিল চাপা অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন।
তাঁদের প্রথমে সালার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শেফালির। আহতদের কান্দি ছাড়াও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। ঘটনার ভয়াবহতায় কান্দির মহকুমা শাসক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।