সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড
  •  বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্ত হন  ১,৬৯০ জন
  • শুক্রবার সংখ্যাটা বেড়ে হল ১৮৯৪
  • গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের

রাজ্যে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। শুক্রবারও সেই ধারা বজায় থাকল। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৮৯৪ জন। ১৩ হাজার ২৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে এই সংক্রমণের হদিস মিলেছে। যার হাত ধরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ৩৮ হাজার পার করে গেল। রাজ্যে এখন মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ১১ জন। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১,৬৯০ জন৷

রাজ্যে যখন সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা হল ১ হাজার ৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ৭ জনের, হাওড়ায় ৩ জনের। এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলির ১ জন করে রয়েছেন মৃতের তালিকায়।

আরও পড়ুন: করোনার মাঝেই আরেক যুদ্ধ জয়, ২৩ রকম নিউমোনিয়ার থেকে সুরক্ষা দিতে ভ্যাকসিন বানাল ভারত

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬৩ জনই কলকাতার। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগণাও। সেখানে একদিনে ৪৪৩ জনের শরীরে ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।  লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৪ হাজার ৭০৯। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে রাজ্যে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

এখনও পর্যন্ত বাংলায় এই মারণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ১ হাজার ৪৯ জনের প্রাণ। অর্ধেকের বেশি মৃত্যু শুধু কলকাতাতেই (৫৪৯)। চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে সুস্থতার নিম্নমুখী হারও। একটা সময় যেখানে সুস্থতার হার প্রায় ৬৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল, সেখানে এখন রাজ্যে সেই হার ৫৮.৫৪ শতাংশ। বর্তমানে করোনাজয়ীর থেকে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৩৮ জন। যার মধ্যে কলকাতায় সুস্থ হয়েছেন ২৯১ জন। 

আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরে 'ডাবল সুরক্ষা' দেবে তাঁদের ভ্যাকসিন, দাবি অক্সফোর্ডের গবেষকদের

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত  ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৪৮ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে৷ প্রতি ১০ লক্ষে টেস্ট হচ্ছে ৭,৫১৫ জনের৷ এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৫৪টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ৩টি ল্যাবরেটরিতে দ্রুত করোনা পরীক্ষা শুরু হবে৷ রাজ্যে আক্রান্তদের চিকিৎসায়  ৮১ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সরকারি ২৭ টি হাসপাতাল ও ৫৪ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷