সংক্ষিপ্ত
- খুন নাকি আত্মহত্যা?
- হেমতাবাদকাণ্ড এবার কলকাতা হাইকোর্টে
- বিধায়ক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রীর
- মামলা দায়ের করলেন হাইকোর্টে
রুশি পাঁজা: সিআইডিতে আস্থা নেই, হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিহতের স্ত্রী। অনলাইনে শুক্রবার আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন তিনি। আবেদন জানানো হয়েছে মামলার দ্রুত শুনানির।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্য়মিকে ভাল ফল করল কারা, ছুঁইয়ে দেখুন তাঁদের স্বপ্ন
মিশুকে স্বভাবের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। গত সোমবার সাতসকালে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বালিয়া মোড়ে বন্ধ দোকানে সামনে থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয়। পরিবারের দাবি, আগের দিন গভীর রাতে কেউ বা কারা বিধায়ককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর ফেরেননি। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিজনেরা। দলের বিধায়ককে খুনের অভিযোগে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তেরও। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তর দিনাজপুর-সহ উত্তরবঙ্গ বারো ঘণ্টা বনধও পালন করেছে গেরুয়াশিবির।
এদিকে পুলিশের দাবি, খুন নয়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হেমতাবাদের সদ্য প্রয়াত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। তাঁর পকেট থেকে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। বস্তত, পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধের কারণে মারা গিয়েছেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। আত্মহত্যা করেছেন তিনি। শরীরে আর কোথাও কোনও আঘাতে চিহ্ন নেই। সিআইডি-কে ঘটনার তদন্তভার দিয়েছে রাজ্য সরকার। মালদহ থেকে একজনকে গ্রেফতারও করেছেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, জাতীয় সড়কের ধারে মিলল ক্ষতবিক্ষত দেহ
যদিও স্বামী যে আত্মহত্যা করেছেন, সেকথা মানতে নারাজ নিহত বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়। তাঁর বক্তব্য, 'উনি আত্মহত্যা করেছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার নেই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এটা আত্মহত্যা নয়। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্য়া কথা বলছে। তৃণমূল নেতাদের চাপে পড়ে এসব বলা হচ্ছে।' মৌখিকভাবে সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছিলেন নিহত বিধায়কের স্ত্রী। এবার দ্বারস্থ হলেন আদালতের।