সংক্ষিপ্ত
জলপাইগুড়ি শহরের পবিত্র পাড়া, এবিপিসি মাঠ ও সংলগ্ন এলাকায় বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। একথা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
সাতসকালে হাতির (Elephant) হানা জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরে। ভোর রাতেই শহরে ঢুকে পড়ে দুটি হাতি। তারপর থেকেই শহরের মধ্যে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় তাদের। কখনও বিডিও অফিসের (BDO Office) সামনে, তো কখনও করোনা হাসপাতালের (Corona Hospital) সামনে দেখা যায় তাদের। আর এই দুই 'বন্ধু'-র দাপটে রীতিমতো করুণ অবস্থা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের (Local People)। অবশেষে জলপাইগুড়ি শহরের পবিত্র পাড়া, এবিপিসি মাঠ ও সংলগ্ন এলাকায় বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। একথা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক (District Magistrate) মৌমিতা গোদারা বসু।
অনুমান করা হচ্ছে, ভোররাতে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল ছেড়েই তিস্তার পাড় ধরে দুটি হাতি শহরে চলে আসে। এরপর তারা সোজা চলে যায় কোভিড হাসপাতাল (COVID Hospital) সংলগ্ন এলাকায়। বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে অবস্থিত কোভিড হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে তারা সেখানে ঢুকে পরে। এই দুই বন্ধুর হানায় হাসপাতালের দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর কোভিড হাসপাতালের পিছনের গেট ভেঙে করলা নদী পেরিয়ে তারা চলে যায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে। সেখানেও কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। এরপর যায় জলপাইগুড়ি এসি কলেজ বয়েস হোস্টেলের পিছনে থাকা করলা নদী (Karola River) সংলগ্ন এলাকায়। সেখানেই একটি ঝোপে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বনদফতরের পদস্থ আধিকারিক ও এলিফ্যান্ট স্কোয়াড সহ বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন- সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ভাড়ায় অটো নিয়েছিলেন, একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে অসহায় পরিবার
এদিকে, শহরে হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। এক এলাকাবাসী জানান, "সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির পাশে দুটি হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারপর তারা নদীর পাড় দিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়।"
আরও পড়ুন- ম্যানহোল যেন মরণফাঁদ, চোরাই মার্কেটে কেন চাহিদা বাড়ছে ম্যানহোলের ঢাকনার
আরও পড়ুন- বক্সা ব্যাঘ্রপ্রকল্পে ক্যামেরাবন্দি হল ব্ল্যাক প্যান্থার, খুশির হাওয়া বন দফতরে
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের ভিড় আরও বাড়তে শুরু করে। এদিকে হাতিগুলিকে বের করার জন্য এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করার পরামর্শ দেন পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, "শুনেছি সকাল থেকে হাতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। কিন্তু ভিড় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এইভাবে ভিড় বাড়তে থাকলে ওদের এলাকা থেকে বের করে আনা অসম্ভব হয়ে যাবে। কারণ ওদেরও এলাকা ছাড়ার জায়গা দিতে হবে। কিন্তু, সেই জায়গাও ওরা পাচ্ছে না। তাই ১৪৪ ধারা জারি করা হোক।" পরে সেই কারণেই বাধ্য হয়ে জলপাইগুড়ি শহরের পবিত্র পাড়া, এবিপিসি মাঠ ও সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।