সংক্ষিপ্ত

তিনদিন পরই বোলপুরে আসছেন অমিত শাহ

তার আগেই আগেই ভাঙন ধরল তৃণমূলে

একইসঙ্গে দল ছাড়লেন দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর

সেই দলে অসম্মানের অভিযোগ

 

বোলপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-এর পা পড়ার আগেই ভাঙন ধরল তৃণমূলে। একইসঙ্গে দল ছাড়লেন দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী দুই প্রাক্তন কাউন্সিলরের দলত্যাগ নিয়ে দলের তরফ থেকে কোন মন্তব্যও করা হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপির একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন ঘটছে। এর আগে বর্ধমান ঘুরে যাওয়ার পর এবার, আগামী ২০ ডিসেম্বর বোলপুর সফরে আসছেন অমিত শাহ। ওইদিন সেখানে রোড শো করার কথা তাঁর। এছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক-ও করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তার ৩ দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন বোলপুর পুরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অরূপ রায় ও তাঁর স্ত্রী তথা ওই ওয়ার্ডেরই আরেক প্রাক্তন কাউন্সিলর শেলী রায়। এখনই তাঁরা অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন, তবে অমিত শাহ-র সফরের ঠিক আগেই দল ছাড়ায় তাঁদের বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।   

দলত্যাগী প্রাক্তন কাউন্সিলর দম্পতি শেলী রায় এবং অরূপ রায় 

এদিন বোলপুরে নিজেদের বাড়িতেই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন এই প্রাক্তন কাউন্সিলর দম্পতি। শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাংলার বিভিন্ন এলাকার আরও অনেক তৃণমূলের ছোট-বড় নেতার মতোই তাঁদেরও অভিযোগ, 'দলে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না'। সেইসঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ করে তাঁরা আঙুল তুলেছেন বোলপুরের তৃণমূলের নেতৃত্বের দিকেও। অমিত শাহ-এর আগমনের আগেই তাঁর দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তৈরি হলেও অরূপ রায়-এর দাবি, বিজেপি-র প্রলোভন নয়, 'শুধুমাত্র দলে সম্মান এবং কাজ করার সুযোগ না পেয়ে'ই তাঁরা দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন"।

আরও পড়ুন - মমতা-র বিকল্প মুখ হতে পারেন শুভেন্দু, বিজেপিতে যাওয়া ছাড়া আর গতি নেই

আরও পড়ুন - বাবা জেলবন্দি, পালিয়েছে মা - ফুটপাতে নেমে আসা কিশোরকে ছেড়ে যায়নি শুধু পোষ্য কুকুর

আরও পড়ুন - কৃষক আন্দোলনে আত্মঘাতি জনপ্রিয় শিখ সন্ত, সুইসাইড নোটে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বোলপুর পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান কংগ্রেসের তপন সাহাকে পরাজিত করে কাউন্সিলর হয়েছিলেন অরূপ রায়। পাঁচ বছর পর, ২০১৫ সালে তাঁর স্ত্রী শেলি রায় ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর হয়েছিলেন। সদ্য তাঁকে কাউন্সিলর পদ থেকে সরিয়ে পুরসভার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল। এবার ২০ তারিখ কী ঘটে, সেটাই দেখার।