সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আতঙ্কের মাঝেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ
  • মেধাতালিকায় তৃতীয় অরিত্র মাইতি
  • রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সে
  • ইতিহাসে প্রাপ্ত নম্বরে চক্ষু চড়ক গাছ অনেকেরই
     

ইতিহাসে ৯৯! অবাক হচ্ছেন তো? জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে অরিত্র মাইতি। এবার মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে সে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বরে খুশি পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা।

আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের 'চিকিৎসক', মাধ্যমিকে সপ্তম রামপুরহাটের শুভদ্বীপ

সকাল-সন্ধে নিয়ম করে পড়তে বসার অভ্য়াস নেই। যখন ভালো লাগে বা ইচ্ছা হয়, তখনই বই খুলে বসে পড়ে সে। ছোট থেকে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অরিত্র মাইতি। বাবা চাকরি করেন সিইএসসি-তে, আর মা ছাপোষা গৃহবধূ। তাঁদের ছেলে বরাবরই পড়াশোনায় মেধাবী। দশ বছরে স্কুলের কোনও পরীক্ষায় কখনও দ্বিতীয় হয়নি অরিত্র। মাধ্যমিক রেজাল্ট কেমন হবে? সেদিকে নজর ছিল বাবা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। নিরাশ করেনি মেধাবী পড়ুয়াটি।

করোনা আতঙ্কের মাঝেই বুধবার মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়। এবছর রেকর্ড সংখ্যক পড়ুয়া পাশ করেছে মাধ্যমিকে। মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অরিত্র মাইতি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছয়শো নব্বই। সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়েছে সে। আর ইতিহাসে কত পেয়েছে, জানেন? ৯৯! এমন নম্বর দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সকলেরই! এও কি সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। 

আরও পড়ুন: একজন হতে চায় ডাক্তার, অন্যজন বিজ্ঞানী, করোনা-বিশ্বে মানব সেবায় তৈরি হচ্ছে মাধ্যমিকের দুই দ্বিতীয়

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ণ পদ্ধতি আমূল বদলে গিয়েছে। প্রশ্নপত্রের ধরণ বদলে যাওয়ার আগের তুলনায় পড়ুয়ারা অনেক বেশি নম্বর পাচ্ছে।  ইতিহাসের মতো বিষয়েও এখন খুব বেশি লেখার দরকার পড়ে না। ছোট প্রশ্ন বা অবজেক্টিভ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পুরো নম্বর পাওয়া সম্ভব। তাই কি ইতিহাসে  ৯৯? তেমনটাই মত শিক্ষাবিদদের।