সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু অব্যাহত
- সাগরদত্ত হাসপাতালে মারা গেলেন আরও একজন
- মৃতের বাড়ির ব্যারাকপুরে
- এলাকায় আতঙ্ক
ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু। এবার আতঙ্ক ছড়াল ব্যারাকপুরে। রবিবার রাতে কামারহাটির সাগরদত্ত হাসপাতালে মারা গিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটেও ডেঙ্গুর উল্লেখ আছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃতের নাম দীপক কুমার দাস। বারাকপুরের তালপুকুর এলাকার ভট্টাচার্য পাড়া লেনে থাকতেন বছর চৌষট্টি ওই ব্যক্তি। কাজ করতেন এলাকা একটি চশমার দোকানে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে জ্বর আসে দীপকের। তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে। দিন তিনেক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোগীকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপরই দীপক দাসকে কামারহাটি সাগরদত্ত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার রাতে মারা যান ওই বৃদ্ধ। এদিকে এই ঘটনায় ফের নতুন করে ডেঙ্গুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যারাকপুরে। এলাকার বেশ কয়েকজন মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। বস্তুত, কয়েক দিন আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ব্যারাকপুর লাগোয়া খড়দহেও একজনের মৃত্য়ু হয়।
আরও পড়ুন:চোখে লঙ্কার গুঁড়ো, আসানসোলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের
পুজোর পর থেকে রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে। মারা যাচ্ছেন অনেকেই। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে সাতজন। হাসপাতালে ভর্তি বহু মানুষ। ডেঙ্গুর প্রকোপ রুখতে একাধিক পদক্ষেপও করেছে পুরসভাগুলি। এলাকা চলছে সাফাই অভিযান, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকী. জমা জলের হদিশ পেলে প্রয়োজনে বাড়িতেও হাজির হচ্ছেন পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হচ্ছে কই! দিন কয়েক আগে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাঁকুড়া বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। লোকসভার রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ সরব হন তিনি।