সংক্ষিপ্ত
শনিবার সন্ধ্যায় ৩০ টাকা দিয়ে লটারি কেটেছিলেন। এরপরেই ওই লটারিতে এক কোটি টাকা মিলে যায়। এদিকে আতঙ্কে নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার সাতসকালে বালুরঘাট থানায় পরিবার নিয়ে হাজির ওই যুবক।
মাত্র ৩০ টাকাতেই ফিরল ভাগ্যের (Fate) চাকা রাজমিস্ত্রির (Mason) শ্রমিকের। লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি ক্রোড়পতি এক যুবক। ৩০ টাকা দিয়ে লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি এক কলেজ ছাত্র তথা রাজমিস্ত্রির শ্রমিক। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সুজয় পাহান(২২)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের বেলঘড়িয়া এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় ৩০ টাকা দিয়ে লটারি (Lottery) কেটেছিলেন। এরপরেই ওই লটারিতে এক কোটি টাকা মিলে যায়। এদিকে আতঙ্কে নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার সাতসকালে বালুরঘাট থানায় (Balughat Police Station) পরিবার নিয়ে হাজির ওই যুবক।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে, উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ভোরের দিকে বজায় থাকবে শীতের আমেজ
জানা গিয়েছে, ওই যুবক রাজমিস্ত্রির শ্রমিকের কাজ করে পড়াশোনা করেন। সে পতিরাম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়িতে শয্যাশায়ী বাবা। বাবা ইমলা পাহান দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার ফলে পরিবারের একমাত্র আয়ের ভরসা সুজয়। বর্তমানে পরিবারে বাবা, মা ও বোন আছে। দিদির বিয়ে হয়েছে অনেক দিন আগেই। কাজ থেকে ফেরার পথে মাঝেমধ্যেই ওই যুবক লটারি টিকিট কাটতেন। তবে আগে কোনদিন সেভাবে কোন পুরস্কার পাননি।
আরও পড়ুন- এক টিকিটেই ফিরল ভাগ্য, পরিযায়ী শ্রমিক থেকে রাতারাতি কোটিপতি মাসুদ
শনিবার সন্ধ্যায় কাজের টাকা পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিজ এলাকায় লটারির টিকিট কাটে সে। আর তাতেই এক কোটি পুরস্কার পায় সে। এই লটারির টাকা পেয়ে সংসারের হাল ফেরাতে চাইছেন ওই যুবক। অন্যদিকে বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে ওই যুবককে এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এভাবেই একটা টিকিটই বদলে দিয়েছিল মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত চিন্তামণি এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক (migrant worker) মাসুদ আলির ভাগ্য। রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছিল গ্রামে। সেলুন থেকে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে সব জায়গাতেই তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে কোটিপতি (millionaire) হয়ে উঠেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
এক বিশেষভাবে সক্ষম বোন আর বিধবা মাকে নিয়ে তাঁর সংসার। স্নাতকোত্তর পাশ করেন মাসুদ। কিন্তু, বাবার মৃত্যুর পরই বদলে যায় পরিস্থিতি। সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁর মাকে। আর সেই কারণেই বাধ্য হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছিলেন। কাজ থেকে ফিরে বসে না থেকে এলাকার নদীতে বালি তোলার কাজও করেন তিনি। তারপর ভিন রাজ্যে গিয়েও কাজ শুরু করেন। এরপর একটা টিকিট কেটেই নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেন তিনি।