সংক্ষিপ্ত

  • কর্তব্যরত অবস্থায় সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যমৃত্যু
  • অন্য এলাকায় ডিউটি করতে গিয়েছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার
  • ফোনে পরিবারের লোককে তাঁর অসুস্থতার খবর জানান এক মহিলা
  • হাসপাতালে মারা যান ওই সিভিক ভলান্টিয়ার

অন্য এলাকার ডিউটি করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার রানাঘাটে। তদন্তের দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।

মৃতের নাম শানু মণ্ডল। বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের বাড়ি রানাঘাটের ঘোরাগাছ এলাকায়। রানাঘাট থানাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন শানু। পরিবারে লোকেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানাঘাটের আইসতলা মিলনবাগান এলাকায় ডিউটি ছিল তাঁর। যথারীতি ডিউটি করতে ওই এলাকার যান। বাড়ির লোকের দাবি, রাতে মহিলা তাঁদের ফোন করেন। তিনি জানান, শানু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।   খবর পেয়ে যে এলাকায় ডিউটি করছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার,  সেই এলাকা যান শানুর পরিবারের লোকেরা। তাঁরা যখন আইসতলা মিলন মন্দির এলাকায় পৌছন, তখন দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তা পড়ে রয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই মারা যান শানু মণ্ডল।  কিন্তু ডিউটি করতে গিয়ে কী এমন হল যে, মারা গেলেন রানাঘাট থানার সিভিক ভলান্টিয়ার শানু মণ্ডল? তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক পরিবারের লোকেরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে বিপুল জয়, বিজেপি-এর পার্টি অফিসে উড়ল তৃণমূলের পতাকা

বেশিদিন আগের কথা নয়। উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে রাতে রুটিন তল্লাশিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। শেষপর্যন্ত কলকাতার একটি হাসপাতালে মারাও যান। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের মারফৎ নিহতের পরিবারের দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের একজনে চাকরি আশ্বাসও জেন।