সংক্ষিপ্ত

  • সরকারি চাকরি পাওয়ার পর 'বদলে গেল' প্রেমিক
  • বিয়ের করার জন্য দাবি করে বসল যৌতুক
  • অপমানে আত্মহত্যা কলেজ ছাত্রীর
  • মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে

সরকারি চাকরি পেতেই ভোলবদল! পরিবারের লোকেরা সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেমিক যে পণ না পেলে বিয়ে করতে রাজি নয়! নিরুপায় হয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্য়া করল কলেজ ছাত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে।

আরও পড়ুন: পুকুরে নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে ঘণীভূত রহস্য

মৃতার নাম অঙ্কিতা দাস। বাড়ি, রঘুনাথগঞ্জের দফরপুরে। জঙ্গিপুর কলেজে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুরের বাসিন্দা রাহুল দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অঙ্কিতার। দুই পরিবারও সবটাই জানত, মেনেওনিয়েছিল। যখন চারহাত এক করার তোড়জোড় চলছে, ঠিক তখন আত্মহত্যা করলেন অঙ্কিতা। শুক্রবার ঘর থেকে উদ্ধার  হয় তাঁর নিথর দেহ। শোকের ছায়া এলাকায়।

আরও পড়ুন: জবকার্ড চাইতে গেলে দুই গৃহবধূকে 'বেধড়ক মার' বিজেপি নেতার, তাঁদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ

কেন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই কলেজ ছাত্রী? পরিবারের লোকেদের দাবি, বিয়ে কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর থেকে চাকরি চেষ্টা করছিলেন রাহুল। সম্প্রতি পুলিশকে চাকরি পান তিনি। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর থেকে ওই যুবকের আচরণে পরিবর্তন আসে। এমনকী, প্রেমিকাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সাত লক্ষ টাকা পণ না গিলে তাঁর পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়! প্রেমিকের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে অঙ্কিতার। বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন রাহুলকে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। মানসিক অবসাদ ও অপমানে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রেমিক রাহুল দাসের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন সকলেই। অভিযুক্ত বা তাঁর পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।