সংক্ষিপ্ত
- মেদিনীপুর শহরে আত্মঘাতী গৃহবধূ
- স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ
- বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে দাম্পত্য কলহ
- গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
স্বামী লুকিয়ে কোনও এক মহিলার সঙ্গে প্রেম করছেন। স্বামীর সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। প্রতিবাদ করায় অন্য ঘরে ঘুমোতেন স্বামী। স্ত্রী বুঝতে পারেন, লুকিয়ে গভীর রাতে ওই মহিলাকে ফোন করছেন স্বামী। সকাল থেকেই এই ঘটনার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে যায়।
শেষমেশ স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর নাম দেবযানী দাস (৩৮)। ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ স্বামী সৌরভ দাস ও শাশুড়িকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন- দু' লাখ টাকার বাইকের আব্দার, না পেয়ে স্ত্রীর ধড়ৃ- মাথা আলাদা করল জামাই
মৃত গৃহবধূর ন' বছরের মেয়ে জানায়, রূপা নামের কোনও এক মহিলার সঙ্গে তার বাবা ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলত। তা নিয়েই সৌরভ দাসের সঙ্গে স্ত্রী দেবযানীর দীর্ঘদিনের গণ্ডগোল ছিল। এই গণ্ডগোলের জেরেই তার বাবা পাশের ঘরে গিয়ে ঘুমোত বলে জানিয়েছে ওই বালিকা।
দেবযানীদেবীর মে বলে, 'শনিবার গভীর রাতে মা উঠলে বুঝতে পারে যে বাবা লুকিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলছে ফোনে। এর জেরেই সকাল থেকে গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। আমাকে আঁকার ক্লাসে পাঠানোর পরেও দিনের বেলা ফের গণ্ডগোল শুরু হয়। আমি আঁকার ক্লাস থেকে এসে জানতে পারি মা ঘরের দরজা দীর্ঘক্ষণ খোলেনি।' এর পরেই দরজা ভেঙে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, রবিবার এই গণ্ডগোলের মাঝে শাশুড়িও ছেলের হয়ে বৌমাকে বকাবকি করেন। তার পরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন দেবযানীদেবী। ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। স্বামী সৌরভ দাস ও তার মাকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।