সংক্ষিপ্ত
- উৎসবের মরশুমে ফের গণপিটুনি রাজ্যে
- চোর সন্দেহে বেধড়ক মার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে
- হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না আক্রান্তকে
- মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে
মানসিকভাবে সুস্থ নন, এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি সময়ে ঘটল বিপত্তি। চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। দুটি থানার টানাপোড়েনে জেরে এখনও পর্যন্ত দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো যায়নি। ক্ষোভে ফুঁসছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যালের নালায় মিলল কাটা মাথা, রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম স্বরূপ দাস। বাড়ি ফরাক্কায় থানা এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যা ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মাঝে-মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন স্বরূপ। রবিবার সকালে পাশের গ্রামে কোপাপাড়ায় ঘোরাঘুরি করছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি। চোর নন তো? সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্যস আর যায় কোথায়! স্রেফ সন্দেহের বশেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আক্রান্তকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ররিবার রাতে হাসপাতালে মারা যান ওই ব্যক্তি। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে কাটমানি-কমিশনের হিসেব চেয়ে পড়ল পোস্টার, বর্ধমানের গলসিতে চাঞ্চল্য
এদিকে আবার মৃতদেহ উদ্ধার করে কে ময়নাতদন্তে পাঠাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কেন? জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি ফরাক্কা থানা এলাকায়। কিন্তু যে এলাকায় তিনি গণপিটুনির শিকার হয়েছেন, সেই এলাকাটি সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত। ফলে দুই থানার টানাপোড়েনে দেহ এখনও পড়ে রয়েছে হাসপাতালেই। অবিলম্বের দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা।