সংক্ষিপ্ত

  • ভোটের মুখে শুরু হওয়া হিংসা কিছুতেই থামছে না।
  • বিজেপি-তৃণমূলের বিবাদের মাসুল গুণতে হল আরও এক তৃণমূল সমর্থকে। 


ভোটের মুখে শুরু হওয়া হিংসা কিছুতেই থামছে না। বিজেপি তৃণমূলের বিবাদের মাসুল গুণতে হল আরও এক তৃণমূল সমর্থকে। অভিযোগ হিংসার জেরেই খুন হলেন বাঁকুড়ার এক তৃণমূল কর্মী। 

এই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম সাইদুল ইসলাম মিদ্যা (৩২)। কোতুলপুর থানা এলাকার চোরকলা গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল , অশ্বিনকোটা গ্রামের একটি দোকানে খাতা লেখার কাজ করতো । জানা গিয়েছে গতকাল তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পরে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। মঙ্গলবার  সকালে জয়পুরে থানার আমলাশোল গ্রাম সংলগ্ন একটি পুকুরঘাট থেকে সাইদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভারি অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তাকে। ঘটনার তদন্ত করছে জয়পুর থানার পুলিশ। 

সইদুল তৃণমুলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী, এমনটাই দাবি স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বর। এদিন দুপুরে কোতুলপুর থানার চোরকলা গ্রামে মৃত তৃণমুল কর্মী সইদুলের পরিবারের সাথে দেখা করতে যান বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমুল সভাপতি তথা এলাকার বিধায়ক শ্যামল সাঁতরা। পরিবারের লোকের সাথে কথা বলেন দলীয় ভাবে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন শ্যামলবাবু। শ্যামল বাবুর অভিযোগ, সইদুল দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মীই শুধু নয়  ভোটে এই এলাকায় সইদুলের নেতৃত্বে তৃঁমুল লিড পায়। সেই কারণেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে সইদুল কে। 

তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। কোতুলপুরের বিজেপি সভাপতি শৈলেন মণ্ডলের দাবি,  এই ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত নয়। একটা অরাজনৈতিক ঘটনাকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তৃণমুল।