সংক্ষিপ্ত
- তাজপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
- এলাকায় বাঁধ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছেন
- শুভেন্দু অধিকারীকে 'সাবালক' বলে কটাক্ষ
- নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাঁধ। রাস্তার অবস্থাও বেহাল। আজ সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাজপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর নাম না করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
আরও পড়ুন- আজই ভ্য়াকসিন নিলেন ভাইরাল 'চা-কাকু', এবার করোনা আক্রান্তদের পাশে মৃদুল দেব
ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়েছিলেন অভিষেক। এরপর আজ পূর্ব মেদিনীপুরে যান তিনি। হেলিকপ্টারে দুপুর ১টা নাগাদ দিঘায় নামেন। সেখান থেকে যান তাজপুরে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। সাংসদকে কাছে পেয়ে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা। তার উত্তরে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে অভিষেক বলেন, "শীঘ্রই হবে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। যাঁরা কাজ করেছিল, তাঁদের দুর্নীতি ধরা হবে। পাশাপাশি নতুন করে কাজ শুরু হবে।"
কয়েকদিন আগেই শঙ্করপুর-তাজপুর রাস্তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড়ের পর সেই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এরপর রাস্তা ও বাঁধ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিককে ডেকে অভিষেক জিজ্ঞাসা করেন, "এই বাঁধের দায়িত্বে কোন দফতর? রাস্তাই বা কাদের আওতায়?" প্রশাসনিক অধিকারিক উত্তর দেন, "বাঁধ সেচ দফতরের। আর রাস্তা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের।" এরপর এ প্রসঙ্গে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, "যাঁরা এই অংশের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা মানুষের জীবনের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। এর থেকে লজ্জাজনক আর কিছুই হতে পারে না। জেলার এক জনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী করেছিলেন। যাতে জেলার মানুষের কষ্ট তিনি বুঝতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে তিনি অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। মানুষের অর্থ সরিয়ে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন।"
আরও পড়ুন- বিএসএফ বনাম চাষীদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ, গুরুতর জখম ৭
এদিকে বুধবারও নাম না করে বাঁধ দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। যদিও তার জবাব দেননি শুভেন্দু। বরং 'নাবালক'-এর প্রশ্নের উত্তর দিতে চান না বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আজ নাম না করে শুভেন্দুকে একহাত নিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "আমি না হয় নাবালক। কিন্তু ওঁকে বলুন ওর সাবালকত্বের প্রমাণ দিতে। সাবালক তো এসে দেখতে পারলেন না, সেই নাবালককেই আসতে হল। আমাকে আবারও ডাকলে আসব। ১০ দিন পরেই নাবালক ফের আসবে।"
এরপর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু ও রাজীবকে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। বলেন, "মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের এক জনকেও রেয়াত করা হবে না। তদন্ত হবে। আমার তো মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারকে বাঁচাতে গোটা জেলার সর্বনাশ করা হল। আমি কথা দিচ্ছি, কেউ রেহাই পাবে না। চুরি ধরা পড়বেই।"