সংক্ষিপ্ত
অনুব্রততেই থেমে নেই সিবিআই তদন্ত। একে নাম জড়াচ্ছে ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিকদেরও। সূত্রে খবর সিবিআই-এর নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী। টুলু মণ্ডলের নাম উঠে এসেছিল আগেই। এবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বাড়িতেও সিবিআই হানা।
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সিবিআই-এর হাতে ধরা দিল কেউটে। এবার দেখার কান টানলে একে একে ঠিক কটা মাথা বেরিয়ে আসে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী তথা ছায়াসঙ্গী সায়গল হুসেনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। হদিশ মেলে সয়গালের বিপুল সম্পত্তিরও। সায়গাল হোসেনকে দিয়ে শুরুটা হলেও গোরু পাচার মামলার তদন্তে একে একে সামনে আসতে থাকে রাঘব বোয়ালদের নাম। সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় নাম ওঠে বীরভূমের নাম করা ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের। ঘটনাক্রমে এই মামলায় নাম জড়ায় অনুব্রত মণ্ডলেও। সিবিআই তাঁকে তবল করলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১০ বারের মধ্যে ৯ বারই সিবিআই-এর ডাকে সারা দেননি কেষ্ট। অবশেষে বৃহস্পতিবার রীতিমত দলবল নিয়ে কেষ্টর বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই এবং গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের দুঁদে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।
তবে অনুব্রততেই থেমে নেই সিবিআই তদন্ত। একে নাম জড়াচ্ছে ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিকদেরও। সূত্রে খবর সিবিআই-এর নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী। টুলু মণ্ডলের নাম উঠে এসেছিল আগেই। এবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বাড়িতেও সিবিআই হানা। সায়গালের সূত্র ধরেই আব্দুল কেরিম খান অব্দি সিবিআই পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে তৃণমূল, আজই জেরা শুরু হবে কেষ্টর
এছাড়া সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বোলপুর পুরসভার এক কাউন্সিলর, জেলার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার ও অনুব্রতর নিরাপত্তারক্ষীদের বেশ কয়েকজন।
জানা যাচ্ছে বোলপুর পুরসভার ওই কাউন্সিলরের নামে এবং বেনামে নাকি সম্পত্তি রয়েছে কেষ্টর। এমনকি মেডিক্যাল কলেজেও অনুব্রতর বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন হত বলে সন্দেহ করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন - দল কখনও সিবিআই হাজিরা এড়াতে বলেনা: অনুব্রত প্রসঙ্গে সরব মদন
বীরভূমের একাধিক ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন - অনুব্রতর গ্রেফতারিতে জল-বাতাসা-নকুলদানা 'দাওয়াই', সৌজন্য বাম-বিজেপি