সংক্ষিপ্ত
- পৌষমেলার মাঠের পাঁচিল ঘিরে অশান্তি
- অনির্দিষ্টকালের জন্য় বন্ধ বিশ্বভারতী
- নিরাপত্তার কথা বন্ধের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
- অশান্তির সমালোচনায় কর্মিসমিতির সদস্য়রা
শান্তিনিকেতন পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদে অশান্তি আগে থেকেই ছিল। কিন্তু, সোমবার পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হতেই চরম উত্তেজনা দেখা দিল ঐতিহ্য়বাহী বিশ্বভারতীতে। প্রবল জনরোষের জেরে এলাকায় ব্য়াপক অশান্তি দেখা দেয়। পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদে চলল মিছিল, বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, পাঁচিল তৈরির জন্য় অস্থায়ী ক্য়াম্প অফিস ভেঙে ফেলে উত্তেজিত জনতা। পে-লোডার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় পৌষমেলার মূল প্রবেশদ্বার। ঘটনার জেরে সোমবার রাত পর্যন্ত অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীকাণ্ডে কাঠগড়ায় তৃণমূল, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ
পৌষমেলার মাঠ ঘেরার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আগে থেকেই প্রতিবাদের চলছিল। বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোশ্য়াল মিডিয়ায় 'পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির' নাম করে ধিক্কার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এরপরই, সোমবার পাঁচিল তৈরির কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। পৌষমেলার মাঠে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। নষ্ট করা হয় পাঁচিল নির্মাণ তৈরির সামগ্রী। বিশ্বভারতীর বিপুল সম্পত্তি নষ্ট হয়। আঘাত পড়ে শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও।
আরও পড়ুন-পৌষমেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙলেন স্থানীয়রা, প্রতিবাদ মিছিলে ধুন্ধুমার বিশ্বভারতীতে
বিশ্বভারতীতে ভাঙচুর ঘটনার প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। বেপরোয়া জনরোষের তীব্র সমালোচনা করেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরাও। সমালোচনায় সরব রাষ্ট্রপতি মনোনিত বিশ্বভারতীর কর্মিসমিতির সদস্য় সুশোভন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ''পৌষমেলার মাঠে অশান্তির ঘটনা একদনমই ঠিক নয়। মেলার মাঠে ফেন্সিং দেওয়ার কাজ চলছিল। পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে না। এই কাজে প্রাতঃভ্রমণ ও মাঠে খেলাধূলোয় কোনও অসুবিধা হবে না। পাঁচিল নিয়ে সমস্য়ার কথা পুলিশকে আগেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু উত্তেজনার সময় পুলিশ উপস্থিত হয়নি।'' পাশাপাশি, ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর। ঘটনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য় করেন তিনি।
আরও পড়ুন-মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড, ভাঙচুর চলল বিশ্বভারতীতে
সোমবার প্রবল উত্তেজনার জেরে বিশ্বভারতী আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঐতিহ্য়বাহী বিশ্বভারতীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরেও।