সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ এক এক করে শোনেন। চাকরি প্রার্থীরা কবে পরীক্ষা দিয়েছেন তারপর কী ঘটনা ঘটেছে। কেন তাঁরা আন্দোলন করছেন।
সল্টলেকে আই আই টি খরগপুর ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এসএসসি, এস এলএসটি, আপার প্রাইমারি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের সাথে দেখা করেন। তাদের দাবি-দাওয়া শোনেন। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীরাও লিখিত আকারে সমস্ত অভাব অভিযোগ ও দাবিগুলি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে জমা দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর কলকাতার নেতা কল্যাণ চৌবে।
শনিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ এক এক করে শোনেন। চাকরি প্রার্থীরা কবে পরীক্ষা দিয়েছেন তারপর কী ঘটনা ঘটেছে। কেন তাঁরা আন্দোলন করছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে কতবার তারা গ্রেফতার হয়েছেন। কেন তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন- সমস্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে সমস্ত বিষয় শোনেন।
এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'শিক্ষক নিয়োগে বাংলায় অনেক অভিযোগ আপনাদের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি। আমি দেশের শিক্ষা বিভাগ দেখার কারণে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি যাতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা, শিক্ষক আবগ্রেডেশন সম্পর্কে আরও উন্নতির জন্য কাজ করা হবে'। তিনি আরও বলেন চাকরি প্রার্থীদের দাবিদাওয়া যেটা আছে সেটা তাঁকে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন চাকরি প্রার্থীদের তরফেই তিনি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে থেকে বাংলার সরকারকে তাদের এই হয়রানির কারণ জিজ্ঞাসা করবেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে গোটা বিষয় সম্পর্কে রিপোর্ট চাইবেন। চাকরি প্রার্থীরা তাঁকে তিনটি ডেপুটেশনের কপি দিয়েছেন। সেগুলির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন।
'সারদা কর্তার চিঠির পরেও গ্রেফতারি নয় কেন?' নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা তৃণমূলের
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর গ্রেফতারির দিন শহরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী, কী বললেন তিনি
হুইল চেয়ারে করে SSKM- ঢুকলেন 'অসুস্থ' পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাতে থাকবেন হাসপাতালে
শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতির অভিযোগে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর সেই দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দলীয় কাজে রাজ্যে এসে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।