সংক্ষিপ্ত
কেরলের নরবলির দেওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি এই রাজ্যেও। মালদার চাঁচোলের ঘটনা নতুন করে তুলে দিল সেই প্রশ্ন। কারণ স্থানীয়দের অভিযোগ তন্ত্র সাধনার জন্য এক নাবালিকাকে হত্যা করা হয়েছে। নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চাঁচোলের গৌরহণ্ড গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কেরলের নরবলির দেওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি এই রাজ্যেও। মালদার চাঁচোলের ঘটনা নতুন করে তুলে দিল সেই প্রশ্ন। কারণ স্থানীয়দের অভিযোগ তন্ত্র সাধনার জন্য এক নাবালিকাকে হত্যা করা হয়েছে। নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চাঁচোলের গৌরহণ্ড গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হতে ভাঙচুর করে। অভিযুক্তকে গণপ্রহার দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ বুধবার সন্ধ্যে থেকেই নিখোঁজ ছিল নাবালিকা। রাত ৯টা নাগাদ গ্রামেরই একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার দেহ। রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পারেন গ্রামেরই বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কথায় মৃতদেহ ছিল ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়। স্থানীয়দের দাবি কিশোরীকে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল বিক্রম নামে এক তরুণের সঙ্গে। বিক্রম বেশ কিছুদিন ধরেই তন্ত্র সাধনা করত বলে অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের। তাই তাদেরই অভিযোগ তন্ত্র সাধনার জন্য বিক্রম নামের ওই যুবক নাবালিকার গলার নলি কেটে হত্যা করেছে। এই অনুমানের কথা ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষ ক্ষেপে ওঠে। অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়। ভাঙচুর ও মারধর করে।
ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদের উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে। বিক্রমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিযুক্তের চিকিৎসা চলছে চাঁচল হাসপাতালে।
মৃত নাবালিকার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মেয়েটি বিকেল ৫টার সময় খেলছিল। কিন্তু আচমকাই বিক্রম সেখানে মত্ত অবস্থায় উপস্থিত হয়। তারপর নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বিক্রম কোথায় গিয়েছিল তা দেখতে পাননি বলেও জানিয়েছেন। তাঁর অনুমান বিক্রম নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গলা কেটে হত্যা করেছে। তিনি বলছেন বিক্রম তন্ত্র মন্ত্র শিখত । আর তন্ত্র সাধনায় সাফল্য লাভের জন্যই নাবালিকাকে বলি দেওয়া হয়েছে।
বিক্রমের ফাঁসিরও দাবি জানিয়েছে নিহত নাবালিকার পরিবার। গ্রামবাসীদের কথায় বিক্রমের বাবাও তান্ত্রিক ছিল। ছেলেও তন্ত্র সাধনা করে।
চাঁচলের পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। তবে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকেই তা জানা যাবে। হত্যাকাণ্ডের পিছনে তন্ত্র সাধানা জড়িয়ে রয়েছে কিনা তাও তাদের কাছে স্পষ্ট। বিক্রমের অবস্থার একটি উন্নতি হলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
টালিগঞ্জের প্রোডাকশন হাউসের গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন
প্রথম নরবলি কাজ করেনি, সেই কারণে দ্বিতীয়বার বলি- তদন্ত নেমে হাড়হিম করা তথ্য কেরল পুলিশের হাতে
হিজাব পরার অধিকার- সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে