সংক্ষিপ্ত

ছাত্র নেতা আনিস খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে অনঢ় খান পরিবার। আর এবার এহেন পরিস্থিতি সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন ধৃত কাশিনাথ বেরার স্ত্রী রাখি বেরা। 

ছাত্র নেতা আনিস খুনের ঘটনায় ( Anis Khan Murder Case) সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে অনঢ় খান পরিবার। আর এবার এহেন পরিস্থিতি সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন ধৃত কাশিনাথ বেরার স্ত্রী রাখি বেরা। আনিস খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই  ২ জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নবান্ন থেকে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (CM Mamata Berjee)। আমতা থানার হোমগার্ড কাশিনাথ বেরা এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার কাশিনাথ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার আনিস খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সেই  কাশিনাথ বেরার স্ত্রী রাখি বেরা।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য ডিজি (WB DG Amit Malviya) ২ জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে খবর জানালেও, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনঢ় আিসের পরিবার। ভাইয়ের হত্যায় কারা জড়িত রয়েছে, তা জানতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরেই ভরসা রেখেছেন দাদা। আনিস খানের বাবা সালেম খানের মুখেও উঠে  এসেছে। আর এবার  আনিস খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সেই  কাশিনাথ বেরার স্ত্রী রাখি বেরা। স্বামীর গ্রেফতারির খবরে ভেঙে পড়েছেন তিনি। রাখা বেরা বলেন, আমার স্বামীকে ইচ্ছাকৃত ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই তদন্ত হলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। কে প্রকৃত দোষী তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাখি। এদিকে সম্ভবত এই কারণেই আনিস খুনেরকাণ্ডে রাজ্য পুলিশকে সহায়তা করতে গিয়ে বেঁকে বসেছে পরিবার। যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য বলেছেন, 'আবার ময়না তদন্ত করতে চায় পুলিশ। কিন্তু তাতে রাজি হচ্ছে না পরিবার। আনিসের মোবাইল ফোনও দেওয়া হচ্ছে না। তাই তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুক পরিবার', এমনই আবেদন করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।

আরও পড়ুন, আনিস হত্যাকাণ্ডে ঘটনার দিন কী ভূমিকা ছিল গ্রেফতার হওয়া পুলিশের, কী নিয়ে অভিযোগ ডিজির

প্রসঙ্গত, মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। এরপরেই মৃত্যু হয় আনিসের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।