সংক্ষিপ্ত
কুণাল ঘোষকে বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একটি মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখান থেকেও পাশ কাটিয়ে চলে যান তিনি।
প্রথমে শর্টসার্কিট মন্তব্য, তারপর সুচপুর মন্তব্য- বীরভূমের রামপুরহাটের বাগটুই (Birbhum, Rampurhat, Bagtui)ইস্যুতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) এজাতীয় মন্তব্য থেকে ক্রমাগত নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন আরেক তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলও দলের মুখপাত্রকে না চেনার ভান করছে। বাগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে অনুব্রত মণ্ড ও কুণাল ঘোষের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাগটুই গ্রামের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই গোটা রাজ্যের নজর ছিল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। ভাদু শেখের হত্যার পর বাগটুই গ্রামে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা ইস্যুতে বলতে গিয়ে তিনি প্রথমে বলেছিলেন শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আদতে যে অন্য ঘটনা রয়েছে এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দ্রুত তা স্পষ্ট হয়। তারপরই অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য বিরোধীদের প্রধান হাতিয়ার হয়ে যায়। কারণ বাগটুইয়ের ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মী সমর্থক বলে দাবি করা হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বদের জেরেই এই হত্যালীলা।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট বাগটুইয়ের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআইকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে রাজ্য। কিন্তু সেই সময়ই কুণাল ঘোষকে বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একটি মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখান থেকেও পাশ কাটিয়ে চলে যান তিনি। স্পষ্ট করে দেন অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের দায় তাঁর বা দলের নয়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সুচপুরে যেমন সাজিয়েছিলে... এখনও জেলে রয়েছে। অনুব্রতর এই মন্তব্য নিয়েও জলঘোলা হতে শুরু করে রাজ্যরাজনীতি। কারণ বিরোধীদের অভিযোগ পুশিল মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে অনুব্রত পুশিলেই নির্দেশ দিচ্ছেন।
অন্যদিকে এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ অনুব্রতকে দলের বড় নেতা বলেও কটাক্ষ করেন। আবার তারই পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনিও কুণাল ঘোষকে না চেনার ভান করে তিনি বলেন, কোন কুণাল ঘোষ? তারপরেও তিনি বলেন, কুণাল ঘোষ দলের বড় নেতা, বেশি বোঝে। অনেকটা একই সুরে কুণাল ঘোষও সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কথা বলার কোনও প্রয়োজন তাঁর নেই। অনুব্রত মণ্ডল দলের বড় নেতা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
যদিও অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট নেতা হিসেবেই পরিচিত রাজ্যরাজনীতি। মমতা তাঁকে স্নেহভরে কেষ্টা বলেও ডাকেন। কিন্তু রাজ্যরাজনীতিতে অনুব্রত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জনপ্রিয়। 'চড়াম চড়াম' থেকে 'জল বাতাসা'- যথেষ্ট জনপ্রিয়। যদিও মমতার কথায় আগুপিছু চিন্তা না করেই মন্তব্য করেন অনুব্রত। বাগটুইয়ের ঘটনার পরেও মমতার সঙ্গেই গাড়িতে করে সেখানে গিয়েছিলেন অনুব্রত। পুরো সফরেই তাঁর সঙ্গী ছিলেন।
রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুশান্ত সিং রাজপুতের ম্যানেজান দিশার পরিবারের, নালিশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে
রাশিয়ার বিমান হামলা, মারিউপোলের থিয়েটার হলে লুকিয়ে থেকেও প্রাণ গেল ৩০০ জনের
আপনি কি ভূত দেখতে চান, তাহলে অবশ্যই যেতে পারেন দেশের এই ৭টি জায়গায়