সংক্ষিপ্ত

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে মঙ্গলবার ভোররাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা বাগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘর থেকে যেমৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল সেগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে। 

বীরভূমের রামপুরহাটের বাগটুই (Birbhul, Rampurhat, Bahtui) গ্রামে তিন মহিলা, দুই শিশুসহ আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার সামনে এসেছে নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (atopsy report)। সেখানে বলা হয়েছে প্রত্যেককেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগে প্রত্যেককেই ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রত্যেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে মঙ্গলবার ভোররাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা বাগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘর থেকে যেমৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল সেগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়ে, ঘরে যারা ছিল আগে তাদের মারধর করা হয়েছে। তারপরই তাদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। জীবন্ত অবস্থাতেই পেট্রোল ঢেলে তাদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও মনে করছে তদন্তকারীরা। 

এই একই দাবি করেছে নিহতদের আত্মীয়রা। ভাসান শেখ নামের এক ব্যক্তি বলেছিলেন, তাঁর মাকেই জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনার তাঁর এক আত্মীয় দেখেছিল। কিন্তু বাড়িতে দুষ্কৃতীরা বোমা মারায় তাঁর মাকে উদ্ধার করা যায়নি। বাড়ির পাশেই একটি অন্ধকার স্থানে লুকিয়ে তাঁর আত্মীয় দেখেছে, প্রথমে মারধর করা হয়েছে। তারপরই আটজনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখ-সহ আট জনকে হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। 

এদিন ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। এজাতীয় ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার জন্য রামপুরহাটের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। বাগটুই গ্রাম পরিদর্শনের আগে মমতা বন্দ্যোবাধ্যায় জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। 

অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও বিজেপির পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলই বাগটুই গ্রামে যেতে পারে বলেও জানান গেছে। গতকালই বাম ও বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল এই গ্রামে সফর করেছিল। 

অন্যদিকে বীরভূমের ঘটনার রিপোর্ট তলব করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি জানিয়েছেন, বীরভূমে যেতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার পরই বিরোধীরা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনেরও  দাবি জানিয়েছেন। 

'বাড়ির সবাই পুড়ে গিয়েছে, ১১ জন মারা গিয়েছে', দাবি এক আত্মীয়ার

'দোষীদের যেন ক্ষমা করা না হয়', রামপুরহাটে পুড়িয়ে মারার ঘটনার নিন্দা প্রধানমন্ত্রী মোদীর

বাসের মধ্যেই স্কুল ছাত্রীদের দেদার মদ্যপান, ভাইরাল ভিডিওটি লজ্জা দেবে আপনাকেও