সংক্ষিপ্ত

বড়শুলার পঞ্চায়েত সদস্যের আরও অভিযোগ, ভাদু শেখ তোলাবাজির ঘটনায় যুক্ত ছিল। স্থানীয় থানার আইসি তাকে মদত দিত বলেও অভিযোগ তার। ভাদু শেখের অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দা অতিষ্ট ছিল বলেও তাঁর। জমি দখল করত বলেও অভিযোগ তার।

বীরভূমের  (Birbhum) রামপুরহাটে জীবন্ত দগ্ধ করে হত্যার (Rampurhat Murder case) ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি কবলেন বড়শুলার (Barashula) পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সদস্য চন্দন মোন্ডা। তিনি বলেন ভাদু শেখের (Badhu Shek) বাড়িতে আগুন লাগানোর আগে তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তারপর বাড়িতে আগুন লাগান হয়। তিনি জানিয়েছেন গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষর্শী একটি শিশু। সেই শিশুটি বেঁচে রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন বাড়িতে ১১জনের মত ছিল। তারা সকলেই পুড়ে গেছে। তিনি বলেন সিবিআই তদন্ত হলেও সাফ হয়ে যাবে, প্রথমে খুন করা হয়েছে। তারপর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

বড়শুলার পঞ্চায়েত সদস্যের আরও অভিযোগ, ভাদু শেখ তোলাবাজির ঘটনায় যুক্ত ছিল। স্থানীয় থানার আইসি তাকে মদত দিত বলেও অভিযোগ তার। ভাদু শেখের অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দা অতিষ্ট ছিল বলেও তাঁর। জমি দখল করত বলেও অভিযোগ তার। ভাদু শেখের বিষয়ে বারবার বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জানান হয়েছিল। ভাদু শেখের বিরুদ্ধে মাস পিটিশনও দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলেও ক্ষোভ জানিয়েছেন চন্দন। তিনি আরও বলেছেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভাদু শেখ খুন হতে পারেন বলেও তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অনুব্রত মণ্ডল ভাদু হত্যা নিয়ে  মিথ্যা কথা বলেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। 


চন্দনের কথায় এলাকার অধিকাংশ মানুষই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, নাহলে সমর্থক। এলাকায় সকলেই তৃণমূলকে সমর্থন করে। কিন্তু ভাদু শেখের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল অনেকেই। ভাদু শেখের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছিল ছোটা লালন। ভাদু-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অন্যতম চক্রী ছোটা লালন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন লালন রাজেশ, বাবরক নামে আরও দুইজনকে  হত্যা করেছে। ভাদুর পথের কাঁটা হয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই দাঁড়িয়ে ছিল লালন। সে বাংলাদেশ সীমান্তে গোপন ডেরায় গা-ঢাকা দিয়েছে বলেও অনুমান তাঁর। বড়াশুলের পাঁচটি গ্রামে শান্তির জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতা আকবরকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিও তিনি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও নালিশ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন আগে তাঁর বাড়িতে বোমা মারা হয়েছিল। কিন্তু  সেই সময়ই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, সেই সময় অভিযোগ জানান সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁর কথায় স্পষ্ট বীরভূমে বিরোধী দলের তেমন কোনও অস্তিত্ত্ব নেই। সেখানে  যা রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয় তার অধিকাংশ তৃণমূল বনাম তৃণমূলের মধ্যে হয়ে থাকে। 

'অসৎ বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য চালালে কী হয়', রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে টুইট রণবীর শোরের

কাঠের ট্রেডমিল নিয়ে বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া, অজ্ঞাতপরিচয় শিল্পির খোঁজ চলছে নেটদুনিয়ায়