সংক্ষিপ্ত


বীরভূমের জেলা সভিপতির পদে এখনও রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেকর নাম। কিন্তু প্রচার ফ্লেক্সে অধরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। গরু পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজত হতেই কার্যত মুছে ফেলা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। 

বীরভূমের জেলা সভিপতির পদে এখনও রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেকর নাম। কিন্তু প্রচার ফ্লেক্সে অধরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। গরু পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজত হতেই কার্যত মুছে ফেলা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। আর তার আগেই এলাকায় উন্নয়নে তৃণমূল কংগ্রেস কী কী করেছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রচার। কিন্তু সেই প্রচার ফ্লেক্সে প্রায় অনুপস্থিত বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অথচ উজ্জ্বল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 তারাপীঠে কৌষিকী অমাবস্যায় ফ্লেক্স থেকে হঠাৎই উধাও দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। তবে ডেপুটি স্পিকারের আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জ্বলজ্বল করছে।
মুখ্যমন্ত্রী ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রামপুরহাটে এসে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে যান। এরপরেই জোর কদমে শুরু তারাপীঠের উন্নয়ন। রামপুরহাট – তারাপীঠ রাস্তা কোথাও ডবল আবার কোথাও ফোর লেন তৈরি হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ মানুষের সমাগম হয় তারাপীঠে। তাই বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে  এবং দলের প্রচার করতে ২০১৮ সাল থেকে এই সময়টা জোরদার প্রচার চালায় তৃণমূল কংগ্রেস।  রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার দু-ধারে ফ্লেক্স টাঙানো হয়। এতদিন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও   দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি থাকত। ২০১৯ সালেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। তারপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দুটো বছর কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দিরে মানুষের সমাগম হয়নি। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে দারুন উৎসহ হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।  কিন্তু এই বিশাল প্রচার পর্ব থেকে উধাও অনুব্রত মণ্ডল । এলাকার বিরোধীদের অভিযোগ দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে প্রচার পর্ব থেকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। 

শুক্রবার দুপুরে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা। সেই জন্য তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে ফ্লেক্স ঝোলাতে শুরু করেছে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে রাস্তার দু’ধার। কিন্তু কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তো দুরের কথা নাম নিশান দেখা যায়নি।

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে আয়াস অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপদার্থ’ বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারই বদলা নিতে আশিসবাবু সুযোগ বুঝে অনুবত মণ্ডলকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। যদিও আশিসবাবু বলেন, “এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেব না”।
    
তবে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “দলের অনেক নেতাই এখন আর গরু চোরের মুখ দেখতে চান না। তাছাড়া পুন্যার্থীরা গরু চোরের মুখের ছবি দেখ পুণ্য কাজে যেতে চান না। তাই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দিতে চাননি। তাছাড়া আশিসবাবুও অপমানের বদলা নিলেন”।

আসানসোলের জেলে ঠাঁই অনুব্রত মণ্ডলের, সেখানে গিয়ে জেরার অনুমতি সিবিআই-কে

Kaushik Amavasya: বন্ধ তারাপীঠের অনলাইন পুজো, ভক্তদের সাবধান করল মন্দির কমিটি

NDTV Vs Adani: আদানিদের শেয়ার কেনায় অনুমোদন নেই, জানিয়ে দিল এনডিটিভি