সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্যপালের পদ নিয়েই এবার প্রশ্ন 
  • প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার 
  • পদ প্রয়োজন নেই বলে লোকসভায় সওয়াল করবেন 
  • জানিয়েছেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় 

'রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় ডেঞ্জারাস ম্যান। তিনি বিজেপি নেতার মতো কথা বলেন।' আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের আক্রমণের মুখে রাজ্যপাল।  এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল নেতা প্রসূন বব্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার জন্য লোকসভায় সরব হবেন। মঙ্গলবার শিবপুরের জৈন হাসপাতলে দাদা পি কে বন্দোপাধ্যায় ব্যবহৃত একটি বেড তিনি দান করেন । যা স্পোর্টসম্যানদের জন্য রাখা থাকবে। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন  হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বিরোধীদের বৈঠকে জাভেদ আখতার, 'দিবাস্বপ্ন' বলে কটাক্ষ বিজেপির ...

'বাপ দেখেনি ছাগল', ফেসবুকে সায়নী ঘোষের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ...

এদিন তিনি বলেন সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা না করে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় প্রতিদিন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন বিষয় টুইট করছেন। ওনার উচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা। কিন্তু যেভাবে তিনি কাজ করছেন সেটা বাংলার মানুষকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা তিনি করতে পারেন না বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। মনে হচ্ছে তিনি বিজেপির সদস্য। তাঁর মতামত আদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে কোনও কাজ করতে পারেন না। 

'BJPকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে না তৃতীয় ফ্রন্ট', পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকের আগেই বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর..

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরো বলেন ২০১৭ সালে লোকসভায় রাজ্যপাল পদ তুলে দেবার জন্য একবার আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বেশিরভাগ দলই এই পদ তুলে দেওয়ার জন্য সরব হয়েছিল। কারণ মোটা টাকা খরচ করে ওই পদ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল  দিনের পর দিন যেভাবে বিজেপি নেতার মত আচরণ করছেন সেজন্য ফের এই পদের প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই আবার তিনি লোকসভায় এ ব্যাপারে সরব হবে বলেন জানান। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা যেভাবে উত্তরবঙ্গেকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের  জন্য সাওয়াল করেছেন তারও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন কোন অবস্থাতেই বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। এর জন্য যতদূর যাওয়া যায় ততদূর যাব।