সংক্ষিপ্ত
এদিকে অভিযুক্ত অপহরণকারী দুই যুবককে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
হাত বাড়ালেই বন্ধু। সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ্যমে এমন অজানা বন্ধুত্বের হাতছানি দিয়ে রীতিমত পরিকল্পনা করে দুই নাবালিকাকে অপহরণের ( Kidnap a minor) অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। ফিল্মি কায়দায় বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে বের করে এনে অপহরণের ঘটনা রবিবার রবিবার জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রামসাগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Police) ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের এলাকা থেকে ২ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শুভম মণ্ডল ও রাজের সাহানি। সেইসঙ্গে ওই দুই নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত অপহরণকারী দুই যুবককে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর দুই জন নানান কৌশল অবলম্বন করে মুর্শিদাবাদের জোড়া নাবালিকাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধুত্বের টোপ দেয়। প্রথমে পরিচয় হয়। তারপরই ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব বাড়াতে থাকে। এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও ক্রমশ নানান কথার মাধ্যমে শুভম ও রাজেশ তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। অবশেষে তারা তাদের কার্যসিদ্ধিতে সক্ষম হয়।
Boris Johnson: 'পুরনো প্রেমে' নতুন করে বিতর্কে বরিস জনসন, জেনিফার আরকিউরির ডায়েরি প্রকাশ্যে
Tripura: ২ মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে FIR, পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ
দুই নাবালিকা ওই দুই যুবকদের কথা শুনে বাড়ি থেকে বের হয় । প্রথমের দিকে কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও বাড়ির লোক কিছুই টের পাইনি।পরবর্তীতে উভয় নাবালিকা বাড়িতে ফিরে না আসায় রীতিমতো খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাদের পরিবারের লোকজন।বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে চেনা পরিচিতদের বাড়িতে যায় তারা। সেখান থেকে নানান সূত্র খতিয়ে দেখে জানা যায় ওই দুই নাবালিকা রীতিমতো দুই যুবকের বন্ধুত্বের ফাঁদে পড়ে অপহৃত হয়েছে। আর কালবিলম্ব না করে নাবালিকাদের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।এরপরে মুর্শিদাবাদ পুলিশের বিশেষ সাইবার টিম সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা ওই দুই যুবকের বিবরণ জানার পরে তাদের মোবাইল সহ অন্যান্য ডিভাইস ট্র্যাক করার চেষ্টা করে।
Indian Railway: আগামী ৭ দিন ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে টিকিট সংরক্ষণ,জেনে নিন কখন টিকিট কাটা যাবে না
পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।যদিও এই সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বর টপ দিয়ে কিভাবে নাবালিকাদের বাড়ি থেকে বের করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই বিষয়ে এখনই খোলসা করে কিছু জানাতে চাননি তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তবে এই ঘটনার পরে রীতিমতো স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল পড়ুয়া জানান,"অনেকেই এখন আগের তুলনায় বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটিভ হয়ে পড়েছেন । চারিদিকে জালিয়াতরা নানানভাবে ফাঁদ পেতে রাখছে। সেইমতো তরুণ-তরুণীদের খুব সহজেই প্রতারণার শীকার হতে হচ্ছে"। অন্যদিকে এই ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকরা জানান,আমরা আগামী দিনের আরো বেশি করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে এলাকায় ওয়ার্কসপ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরণের ব্যবহার সম্পর্কে তরুন সমাজকে সচেতন করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।