সংক্ষিপ্ত

  তিনলক্ষের বেশি ভোটে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে শত্রুঘ্ন সিনহা। তবুও বর্ষীয়ান এই বলিউড লেজেন্ড তথা তৃণমূলের প্রার্থী নিজের কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রাকে হেরে যাওয়ার পর কটাক্ষ করা তো দূরের কথা, বরং সবিনয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিহারীবাবু। 

আসানসোলে বড় ব্যবাধানের ভোটে জয়ী শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনলক্ষের বেশি ভোটে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে শত্রুঘ্ন সিনহা। যা কিনা বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুলের রেকর্ডও ব্রেক করেছেন বিহারীবাবু। স্বাভাবিকভাবেই যারপরনাই খুশি সিনহা পরিবার।  শত্রুঘ্ন সিনহা মেয়ে সোনাক্সি সিনহা, স্ত্রী সকলেই উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। যদিও এতবড় জয়ের পর বেশ সাবলীলই আছেন  শত্রুঘ্ন সিনহা। আবেগের টাল মাটাল না হয়ে স্পষ্ট করেছেন, 'আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জন্য এই জয় সম্ভব হয়েছে।' তবে বর্ষীয়ান এই বলিউড লেজেন্ড তথা তৃণমূলের প্রার্থী নিজের কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রাকে হেরে যাওয়ার পর কটাক্ষ করা তো দূরের কথা, বরং সবিনয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিহারীবাবু। 

মূলত শত্রুঘ্নর হাত ধরেই আসানসোলে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেয়েছে তৃণমূল। শুধু জয়ই নয়, রেকর্জ জয়। যা কিনা বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুলের রেকর্ডও ব্রেক করেছেন বিহারীবাবু। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে এই বড় মার্জিনে আগে কেউ জেতেনি। জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীকে তো বটেই,  এই বিশাল ব্যবধানে জয়ের পূর্ণ কৃতিত্ব দিলেন তিনি আমজনাতার আশীর্বাদকেও।  শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, 'মানুষ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মতো মহান নেত্রীকে সমর্থন করেছে। তৃণমূলের সবার চেষ্টা জয় এসেছে। এই জন্যই আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পেরেছি। আমার একার কোনও কৃতিত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, জয়ের জন্য আমার অনুদান সবচেয়ে কম। বেশি অনুদান রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের, মলয় ঘটকের। দলের যে কর্মী সমর্থকরা বসে আছেন এখানে, তারা সকলেই নিজের মতো কাজ করেছেন। সর্বপরী আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জন্য এই জয়।'

আরও পড়ুন, 'অজুহাত দেব না, রিগিং হয়েছে বলব না', ভোটে হেরে মোদীকে 'সরি স্যার' বললেন অগ্নিমিত্রা

আরও পড়ুন, 'ঠাকুমা বলত, অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়', শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে স্যোশালে পোস্ট দেবাংশুর

প্রসঙ্গত, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে আসন ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দুবাই জিতেছিল বিজেপি। বাবুলের দক্ষতা তাতে অন্যমাত্রা যোগ করেছিল। সুতরাং তৃণমূল যোগদানের পর প্রায় সবার মুখে সেই কলকাতা পুরভোটের থেকেই একটাই প্রশ্ন ছিল, কোন কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবে বাবুল। কিন্তু ভোটের পর ভোট গেলেও বাবুলের প্রার্থী পদের কোনও খবর না পাওয়ায় তোপও দেগেছিল পদ্ম শিবির। তবে যে দুইবারের জয়ী বাবুলকে যে এবার বালিগঞ্জ বিধানসবা উপনির্বাচন থেকে লড়াই নামাবে তৃণমূল, তা বোধয় কেউ ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেনি। তবে শত্রুঘ্ন সিনহা বনাম অগ্নিমিত্রা নিয়ে এবার সবার বুকধুকপুক ছিল গণনার সকালেও। কারণ দুই তরফে শুরুতে গ্রাফ উঠছিল, কিন্তু বেলা পেরোতেই ঘাসফুলে সূর্য মধ্যগগনে যায়।

আরও পড়ুন, 'তৃণমূল থেকে শেখার আছে, বহিষ্কৃতদের এবার ফেরানো উচিত', হারের পর বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

তবে তিনি বিপুল জয়ের পর অগ্নিমিত্রাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার স্পোর্টসলি আচরণকে তুলে ধরেছেন। অগ্নিমিত্রাকে শুভেচ্ছা পাঠিয়ে বলেছেন,' আমি তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি কখনও বিরোধী দলের প্রার্থীর নাম নিইনি। এই লড়াই অগ্নিমিত্রার বিরুদ্ধে নয়। লড়াই হচ্ছে আদর্শের সঙ্গে একটি আদর্শের। একটা বিচারধারার সঙ্গে অন্য একটি বিচার ধারার লড়াই। কোনও মানুষের সঙ্গে লড়াই নয়', বলে জানিয়েছেন বিহারীবাবু।