সংক্ষিপ্ত
আসানসোলের গণনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপি-তৃণমূলের। কোথাও এগিয়ে, কোথাও পিছিয়ে অগ্মিমিত্রা। বিজেপির ধারবাহিকতা কি বজায় থাকবে, নাকি কুপোকাৎ করবে এবার তৃণমূল, দেখার অপেক্ষা আসানসোলবাসী।
আসানসোলের গণনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপি-তৃণমূলের। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন কেন্দ্রে পরপর দুইবার গেরুয়া রঙের জয় এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এবার আসানসোলের দিকে নজর সবার। বিজেপির সেই ধারাবাহিক জয়ে যবনিকা টানাবে কি এবার তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, আসানসোলে ভোটের গণনায় লড়াই হচ্ছে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের এবং তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা-র।
প্রথম রাউন্ড শেষে শত্রুঘ্ন এগোলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন অগ্মিমিত্রা পাল। আসানসোলে প্রথম রাউন্ড শেষে ৬ হাজার ৫০০ ভোটে এগিয়েছে তৃণমূল । পাণ্ডবেশ্বর, বারবনি, আসানসোল উত্তর , জামুড়িয়ায় এগিয়ে তৃণমূল। আসানসোল দক্ষিণ এবং কুলটি-সহ তিনটি বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি। তবে এই মাত্র পাওয়া খবরে আসানসোলের তিন কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিণ , রাণিগঞ্জ, কুলটিতে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তবে পাণ্ডবেশ্বর , বারবমি, আসানসোল উত্তরে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। পাণ্ডবেশ্বরে শত্রুঘ্ন সিনহা ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন, বালিগঞ্জে গণনার শুরুতেই এগিয়ে বাবুল, ধার ঘেষে বেরোল দিলীপের তোপ
উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে ভোট যুদ্ধে এবার নামেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাবুলের ছেড়ে যাওয়া সিটে আসানসোল থেকে বিজেপির পদ প্রার্থী হন অগ্নিমিত্রা পাল। একটাসময়ে অগ্নিমিত্রার সঙ্গে প্রায় সবসময়ই বাবুলকে দেখা যেত। বলতে গেলে নিজের হাতে গড়া, রাজনীতিতে অগ্নিমিত্রার হাতে খড়ি বাবুলসুপ্রিয়র হাতেই, অন্তত তেমনি দাবি বালিগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীর।
বাবুলের কথায়, 'আমার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিল। তবে শত্রুঘ্ন সিনহার সামনে ঝড়ের মতো উড়ে যাবে'। যদিও দমবার পাত্রী নন অগ্নিমিত্রা। যদিও দমবার পাত্রী নন অগ্নিমিত্রা।যদিও অগ্নিমিত্রা পাল্টা বলেছেন, আমার রাজনীতিতে আসা বাবুল সুপ্রিয় দেখে নয়, নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই রাজনীতিতে এসেছি। বাবুল সুপ্রিয় ভাল বন্ধু হতে পারেন, তবে রাজনীতিতে ও এখন আমার শত্রু। নরেন্দ্র মোদীই আমার অনুপ্রেরণা। আমার রাজনৈতিক আইকন নরেন্দ্র মোদির নের্তৃত্বে আমার হোমটাউন আসানসোলের উন্নয়নই হবে আমার অন্যতম প্রধান কাজ।'
আরও পড়ুন, গণনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তৃণমূল-বিজেপির, বালিগঞ্জ ও আসানসোলে এগিয়ে কে
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হোক', হাঁসখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক সুকান্ত
প্রসঙ্গত, রাজ্যে জোড়া উপনির্বাচনের দিনে সবার নজর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। তার অন্যতম কারণ এই লোকসভা আসনে কোনও দিনও সিট পায়নি তৃনণমূল। তবে যার জন্য পায়নি, সেই দুইবারের জয়ী বিজেপি সংসদও এখন শিবির বদল করেছেন। আছেন এখন তৃণমূলে। টুইস্টইটা এখানেই। কিন্তু আরও বড়বিষয়টা হচ্ছে, আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের আগে একুশ সালে হওয়া রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে কলকাতা পুরভোট-সহ ১০৮ পুরভোট সবেতেই একচেটিয়া বাজিমাত করেছে সেই তৃণমূল। তবে শুধুই জয় নয়, বিরাট সংখ্যার ব্যবধানে জয় এনেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাই রাজ্যের প্রায় সবজায়গাতেই সবুজ আবিরে পরিপূর্ণ , এবার দিল্লির মসনদে বসার লক্ষ্য়ে তৃণমূল। তার অন্যতম সাঁকোই বলা যেতে পারে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন। তাই আবারও কি ধারাবাহিক গেরুয়া রঙই বজায় থাকবে, নাকি এবার হবে বদল, প্রহর গুণছে আসানসোলবাসী।