সংক্ষিপ্ত

১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরনিগমের ভোট রয়েছে। আর তার আগে জোর প্রচার চালাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচারের মধ্যে কিছু না কিছু অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করছেন সবাই। কেউ মশারির মধ্যে প্রচার করছেন, তো কেউ আবার প্রচার করছেন ধামসা মাদল বাজিয়ে।

ভোটের ক্ষেত্রে ব্যালট বক্সের (Ballot Box) গুরুত্ব বিপুল। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের ভাগ্য নির্ধারণের চাবিকাঠি থাকে ওই বাক্সে। আর সেই বাক্সকেই কিনা এবার কামড়ে খাওয়া যাবে? শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। কারণ কলকাতা পুরভোটের (KIMC Election) আগে হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন, আর সেই সময় একথা রীতিমতো চিন্তার বিষয়! নাহ, তবে বিশেষ চিন্তা করার কিছুই নেই। আসলে এটি যেমন তেমন ব্যালট বক্স নয়। এটি হল ক্ষীরের তৈরি ব্যালট বক্স। 

বিষয়টা একটু খুলে বলা যাক। ১৯ ডিসেম্বর (19 December) কলকাতা পুরনিগমের ভোট রয়েছে। আর তার আগে জোর প্রচার চালাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচারের মধ্যে কিছু না কিছু অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করছেন সবাই। কেউ মশারির মধ্যে প্রচার করছেন, তো কেউ আবার প্রচার করছেন ধামসা মাদল বাজিয়ে। আর আজ ছিল প্রচারের শেষ দিন। এদিনে একটু চমক দিতে কলকাতা পুরনিগমের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক পেল্লায় মিষ্টি আনা হয়। সেই মিষ্টি (Sweet) তৈরি করা হয়েছে ব্যালট বক্সের আদলে। যাকে দেখতে অবিকল ব্যালট বক্সের মতোই। সেই মিষ্টি তৈরি করেছে সোদপুরের (Sodepur) একটি মিষ্টির দোকান। 

সেই সন্দেশের উদ্বোধন করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়ায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরের জয়হিন্দ ভবনে তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (Kajari Banerjee), সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ সেই মিষ্টির উদ্বোধন করেন। সোদপুরের এই বিশেষ মিষ্টি (Sweet) প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, এই মিষ্টি শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই নয়। আসলে এই মিষ্টির ভিতরেই লুকিয়ে প্রার্থীর ওয়ার্ডের রেজাল্টও! 

আরও পড়ুন- 'তোমার দেখানো পথেই রাজনীতিতে আমার পথ চলা শুরু', সুদর্শনার পোস্ট ঘিরে চর্চা তুঙ্গে

পুরভোটের আগে দু'দিনও বাকি নেই। ফলপ্রকাশ ২১ ডিসেম্বর। ভোটে জেতা নিয়ে আশাবাদী ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, তা বলে কি চিন্তা একেবারেই নেই! তা বললে কখনও হয় নাকি। নানান সমীক্ষায় উঠে আসছে নানা মত। আর তার মধ্যেই আবার বাজারে এল ব্যালট বক্স সন্দেশ। যার মধ্যেই নাকি আবার লুকিয়ে রয়েছে ফলাফল। মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারীরা জানিয়েছেন, এই মিষ্টির দুটি আস্তরণ রয়েছে। অনেকটা ক্ষীর কদম্বের মতো। বাইরের আস্তরণটা তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ ক্ষীর দিয়ে। সেটা অনেকটা কড়া পাকের সন্দেশের মতো। আলতো করে তা ভেঙে খেলেই ভিতরে নরম ছানার পুর। আর সেখানেই রয়েছে চমক। সন্দেশের ভিতরে জ্বলজ্বল করছে পুরভোটের ফলাফল! আসলে তা হল রঙের প্রলেপ। তৃণমূল (TMC) হলে সবুজ, সিপিএম (CPM) হলে লাল আর বিজেপি (BJP) জিতলে গেরুয়া। অবশ্য এই রং সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি। মুখে দিলে কোনও ক্ষতি হবে না। 

শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে সেই ব্যালট বক্স মিষ্টি আনা হয়। এরপর সেই ব্যালট বক্স সন্দেশ খোলেন তিনি। আর তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে সবুজ রং। ২১ ডিসেম্বর ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডও ঠিক এভাবেই সবুজে ছেয়ে যাবে বলে আশাবাদী স্বয়ং প্রার্থী।