সংক্ষিপ্ত

সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের বিষয়ে আইন প্রণয়নের দাবি তুলল 'বাংলা পক্ষ' (Bangla Pokkho)। রবিবার, পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে (Durgapur) সভা করল তারা। 
 

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) স্থায়ী বাসিন্দাদের ১০০ শতাংশ সংরক্ষণ, এবং বিভিন্ন বেসরকারি ঠিকা কাজ, টেন্ডার, ক্যাবের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের ৯০ শতাংশ সংরক্ষণ - রবিবার, এই দাবিতে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে (Durgapur) সভা করল 'বাংলা পক্ষ' (Bangla Pokkho) সংগঠন। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ (Reservation) আইনের দাবি তুলছে তারা। তারই অংশ হিসাবে এই সভা করল বাংলা পক্ষ। 

দুর্গাপুর পৌরনিগমের (Durgapur Municipal Corporation) কাছেই এই পথসভায় করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, সংগঠনের তরফে বাংলা পক্ষের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক, কৌশিক মাইতি তাঁদের এই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইনের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, মাত্র ৪.৮ শতাংশ বাঙালি এই রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান কাজ করতে। অথচ, বাংলায় সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে, কমপক্ষে ৩০ শতাংশের উপর অবাঙালীরা কাজ করেন। কোনও কোনও শিল্পাঞ্চলে তো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কর্মীই 'বহিরাগত'। এই পরিস্থিতিতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন জারি না করলে বাঙালিদের কর্মসংস্থান হবে না। 

দুর্গাপুরের সভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন সংগঠনের নেতারা

একই সঙ্গে তারা ঠিকা কাজ, টেন্ডার এবং ক্যাবের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংরক্ষণ দাবি করেছে। তারা আরও বলেছে, ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যেই সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে একই পথে কেন হাঁটবে না বাংলা? এই প্রশ্নই তোলা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। 

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পরিষদের সদস্য সম্রাট কর। এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর শাখার সম্পাদক অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির দুর্গাপুরের প্রতিনিধি সদস্য তন্ময় গরাই, রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ববর্গ ও সংগঠনের সদস্যরা। 

বাঙালিদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করার দাবি করে আসছে বাংলা পক্ষ সংগঠন। রবিবার, দুর্গাপুরের মতো ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইনের দাবিতে বাংলা পক্ষ সভা করে হাওড়ার আন্দুল এবং পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদেও। শনিবার কোলাঘাটেও একই দাবিতে কর্মসূচি ছিল সংগঠনের।