সংক্ষিপ্ত
- ২০১৭ সালে আকাঙক্ষা শর্মা হত্যাকাণ্ড
- বাড়িতে সিমেন্টের তৈরি বেদি থেকে প্রেমিকার দেহ উদ্ধার
- মামলায় বাঁকুড়া আদালত দোষী সাব্যস্ত উদয়ন দাস
- বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সাজা ঘোষণা
আকাঙক্ষা শর্মা হত্যাকাণ্ড। বাঁকুড়ার বাসিন্দা যুবতীর খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। উদয়ন দাস নামে প্রেমিকের বাড়ির কংক্রিটের বেদি থেকে টিনের বাক্সের মধ্যে আকাঙাক্ষার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছিল প্রেমিক উদয়ন দাস। ২০১৭ সালে ফেব্রয়ারি মাসের সেই ঘটনায় খুন ও দেহ লোপাটের মামলা রুজু করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। উপযুক্ত তথ্য় প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উদয়ন দাসকে দোষী সাব্য়স্ত করে আদালতে। ওই মামলায় উদয়ন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র্য়াক আদালত।
আরও পড়ুন-করোনার থাবা টেস্টিং ল্যাবেও, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নমুনা আসবে কলকাতায়
ভোপালের সাকেতনগরের বাসিন্দা উদয়ন দাসের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল বাঁকুড়া তরুণী আকাঙক্ষা শর্মার। আমেরিকায় চাকরি পাইয়ে দেবে বলে আকাঙক্ষাকে ভোপালে ডেকে পাঠায় উদয়ন দাস। ২০১৬ সালে ২৩ জুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আকাঙ্খা। তারপর, উদয়নের বাড়িতে পৌঁছতেই ভুল ভাঙে আকাঙক্ষার। বুঝতে পারে তাঁকে ঠকিয়েছে উদয়ন। তাঁদের মধ্য়ে বচসা শুরু হলে ১৫ জুলাই আকাঙক্ষাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে উদয়ন। পরে দেহটি টিনের বাক্সের মধ্য়ে ভরে বাড়িতে কংক্রিটের বেদি তৈরি করে গেঁথে দেয় উদয়ন দাস। এরপর, ওই বছরের ৫ অক্টোবর আকাঙক্ষার বাঁকুড়ার বাড়িতে ঘুরে যায় উদয়ন। জানায়, আমেরিকায় রয়েছে আকাঙক্ষা। নতুন সিম না মেলায় সে বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন-কারখানায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য গুলি, 'বাইক ছিনতাই' করে চম্পট দুষ্কৃতীদের
এরপরই সন্দেহ হলে উদয়নের ভোপালের বাড়িতে যায় আকাঙক্ষার বাবা। কিন্তু, সেখানে আকাঙক্ষা এবং উদয়নের দেখা পাননি তাঁরা। ফিরে এসে বাঁকুড়া সদর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে সাকেতনগরের উদয়নের বাড়িতেই রয়েছে আকাঙক্ষার মোবাইল ফোন। এরপরই পরিবারের অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে উদয়ন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেদি খুঁড়ে উদ্ধার হয় আকাঙক্ষার দেহাবশেষ।
শুধু কলকাতাতেই মোট মৃত্যু ছাড়াল ১২০০, দেখুন করোনা বুলেটিনের ছবি
শুধু তাই নয়, উদয়ন দাসকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য় পায় পুলিশ। ২০১০ সালে বাবা-মাকেও খুন করেছে সে। খুন করে ছত্তীশগড়ের রায়গড়ের বাড়িতে বাগানে পুঁতে দেয়। সেখানেও উদয়নের বাবা-মায়ের দেহাবশের উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর, আকাঙক্ষা খুনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। সেই মামলায় উদয়ন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র্য়াক কোর্টে বিচারক সুরেশ বিশ্বশর্মার এজলাসে মামলার সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা। উদয়ন দাসের কঠোর শাস্তির অপেক্ষায় আকাঙক্ষা শর্মার পরিবার।