সংক্ষিপ্ত

বাঁকুড়া শহরের উত্তর প্রনবানন্দ পল্লির বাসিন্দা সৌমাল্য মুখোপাধ্যায়। বাবা উত্তম মুখোপাধ্যায় পেশায় হাই স্কুলের শিক্ষক। মা সোমা মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দুই ছেলেকে ও স্ত্রী-কে নিয়ে সংসার উত্তমবাবুর। ইউক্রেনের ভিয়েন খারাজিন খারকিভ ন্যাশান্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়ায় সুযোগ পায় বাঁকুড়ার মেধাবী ছাত্র সৌমাল্য।

বাঁকুড়া (Bankura) থেকে ইউক্রেনে (Ukraine) ডাক্তারি (Doctor) পড়তে গিয়েছে ছেলে। কিন্তু, সেখানকার যুদ্ধ পরিস্থিতির (War Situation) জেরে আর বাড়ি ফিরতে পারছে না সে। ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে (Video Call) কথা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাতেও মায়ের মন থেকে চিন্তা দূর হচ্ছে না। কারণ কখন কী হয় তা কেউই বলতে পারছে না। ছেলের চিন্তয় উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের (Family Member)। আর যুদ্ধের খবর দেখেই কেঁদে উঠছে মায়ের মন। ছেলে যাতে নিরাপদেও সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরে আসতে পারে তার জন্য সরকারে কাছে কাতর আবেদন বাঁকুড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারের (Mukherjee Couple)।  

বাঁকুড়া শহরের উত্তর প্রনবানন্দ পল্লির বাসিন্দা সৌমাল্য মুখোপাধ্যায়। বাবা উত্তম মুখোপাধ্যায় পেশায় হাই স্কুলের শিক্ষক। মা সোমা মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দুই ছেলেকে ও স্ত্রী-কে নিয়ে সংসার উত্তমবাবুর। ইউক্রেনের ভিয়েন খারাজিন খারকিভ ন্যাশান্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়ায় সুযোগ পায় বাঁকুড়ার মেধাবী ছাত্র সৌমাল্য। ছেলের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যাতে সফল হয় তার জন্যই তাকে ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলেন উত্তমবাবু। ছেলেকে এতদূর পাঠানোর কথা চিন্তা করে প্রথমে মায়ের মন কাঁদলেও পরে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন সোমাদেবী। ২০২০ সালের ২০ জুন ডাক্তারি পড়ার জন্য ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিল সৌমাল্য। 

আরও পড়ুন- ইউক্রেনে আটকে নাতি, যুদ্ধের খবরে আঁতকে উঠছেন রতুয়ার দম্পতি

গত বছর মে মাসে বাড়ি এসেছিল এবং কয়েক মাস বাড়িতে কাটিয়ে ফের অক্টোবর মাসে ফিরে যায় ইউক্রেনে। তারপর থেকে সেখানেই রয়েছে সে। বেশ কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেন জুড়ে জ্বলছে যুদ্ধের আগুন। সেই খবর দেখার পর থেকেই ছেলের জন্য প্রবল উৎকণ্ঠা বেড়েছে বাঁকুড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদের মনে। শুক্রবার রাতে ইউক্রেনে বাঁকুড়ার ছাত্রের ডাক্তারি পড়তে যাবার খবর আসে জেল প্রশাসনের কাছে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে সব ধরনের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে ছেলের জন্য রাতের ঘুম ছুটেছে মুখোপাধ্যায় দম্পতির। ছেলের সঙ্গে মাঝে মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে, কথাও হচ্ছে বলে জানিয়েছে সৌমাল্যর বাবা। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত ছেলেকে কাছে পাচ্ছেন ততক্ষণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না তাঁরা। 

আরও পড়ুন, কখন কী খবর আসবে, ঘুম উড়েছে ইউক্রেন আটকে যাওয়া বাংলার ৩ ডাক্তারি পড়ুরার পরিবারের

সৌমাল্যর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, অন্য ছাত্রদের সঙ্গে বাঙ্কারে রয়েছে সৌমান্য। ইউনিভার্সিটির মেস থেকে খাবারও দেওয়া হচ্ছে তাদের। তবুও উৎকণ্ঠা কাটেনি পরিবারের। ছেলে যাতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে সেই প্রার্থণাই করছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- 'ভয়ঙ্কর' অবস্থা ইউক্রেনের, আটকে বাংলার বহু পড়ুয়া, হেল্পলাইন নম্বর চালু নবান্নর

এদিকে যত দিন যাচ্ছে ততই ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত সেখানে আটকে রয়েছেন একাধিক ভারতীয়। তার মধ্যে বাংলারও বহু পড়ুয়া রয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁদের পরিবার। নিরাপদে যাতে সন্তান ঘরে ফিরে আসতে পারে সেই পথ চেয়ে বসে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে অনেকেরই। সেই সব পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। দিল্লি বা মুম্বই বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফেরার জন্য তাঁদের বিনামূল্যে বিমানের টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। পাশাপাশি, বিমানবন্দরে থাকবে রাজ্যের প্রতিনিধিরা যাঁরা ওই পড়ুয়াদের সাহায্য করবে। শনিবার টুইট করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।